বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমাটির সঙ্গে অর্থসম্পদের পাশাপাশি সম্মান ও ক্ষমতা জড়িত। এটি এমন এক তকমা, যে ব্যক্তির সঙ্গে জুড়ে যায়, তাকে কোনো কিছু কেনার জন্য দ্বিতীয়বার ভাবতে হয় না। কৌতূহল জাগতেই পারে, বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোস তার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়ে কী করেন? তার মালিকানায় অত্যন্ত ব্যয়বহুল কী কী জিনিস রয়েছে।
বাড়ি
ওয়াশিংটনে জেফ বেজোসের একটি বাড়ি আছে, যা আগে টেক্সটাইল জাদুঘর হিসেবে ব্যবহূত হয়েছে। ২০১৬ সালে এ বাড়ি কিনতে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার ব্যয় করেন তিনি। জানা গেছে, বাড়িটি পুনর্নির্মাণের কাজ চলমান। নির্মাণকাজ শেষ হলে বাড়িটিতে ১১টি শয়নকক্ষ, ২৫টি বাথরুম, পাঁচটি বসবাসের কক্ষ ও দুটি এলিভেটর থাকবে।
ব্যক্তিগত জেট উড়োজাহাজ
জেফ বেজোসের মতো একজন টেক টাইটানের জন্য ব্যক্তিগত জেট উড়োজাহাজ থাকাটা বিলাসপণ্য নয়, প্রয়োজনীয় বটে। জেফ বেজোসের মালিকানায় রয়েছে গালফস্ট্রিম জি-৬৫০ইআর মডেলের একটি জেট উড়োজাহাজ, যা বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগতির ব্যক্তিগত জেট উড়োজাহাজ। এ ব্যক্তিগত জেট ক্রয়ে ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয় করেনে জেফ বেজোস।
৪২ বিলিয়ন ডলারের ঘড়ি
বিশ্বের অন্য যেকোনো মানুষের চেয়ে আপনার কাছে যদি বেশি সম্পদ থাকে, তাহলে আপনার শখের জিনিসগুলো একটু ভিন্ন হবে। জেফ বেজোসের এমন একটি শখের জিনিস ঘড়ি। যেটা ১০ হাজার বছর চলবে। টেক্সাসে এ ঘড়ির নির্মাণকাজ চলছে। এটি নির্মাণে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি বিনিয়োগ করছেন ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
নিউইয়র্কে ১০ হাজার বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্ট
নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্ক ওয়েস্ট এলাকায় জেফ বেজোসের ১০ হাজার বর্গফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে। এ অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
১৪১ বছরের পুরনো সংবাদপত্র
জেফ বেজোসের নিয়ন্ত্রণে শুধু একাধিক প্রযুক্তি স্টার্টআপেই নয়, রয়েছে ১৪১ বছরের পুরনো একটি সংবাদপত্র। ওয়াশিংটন পোস্ট যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংবাদপত্র। ২০১৩ সালে ২৩ কোটি ডলারে এ পত্রিকার মালিকানা কিনে নেন জেফ বেজোস।
রকেট কোম্পানি
জেফ বেজোসের শখের প্রকল্পগুলোর অন্যতম একটি মহাকাশ কোম্পানি ব্লু ওরিজিন। জনসাধারণের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ সহজলভ্য করতে এ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।