ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর প্রেসিডেন্ট এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেছেন, বর্তমান দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২২ হাজার ৫১ মেগাওয়াট। আগামী ২০৪১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ হাজার মেগাওয়াট। সরকারের নতুন পদক্ষেপ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটারিং সিস্টেম। আর এই স্মার্ট প্রি-পেইড মিটারে গ্রাহকের ভোগান্তি অনেক কমবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে আইইবির তড়িৎ কৌশল বিভাগের উদ্যোগে আইইবি’র কাউন্সিল হলে ‘টেকনোলজি এন্ড সিস্টেম ওভারভিউ অফ স্মার্ট মিটার ইন এডভান্স মিটারিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এএমআই)’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে আইইবি তড়িৎ কৌশল বিভাগের সম্পাদক ও ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগের সভাপতি এবং ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশলী) প্রকৌশলী মো. রমিজ উদ্দিন সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহিদ সারওয়ার এবং ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইইবি’র সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ডিপিডিসির ডিজিএম (আইসিটি) উন্নয়ন, মো. কামরুল আহসান। অনুষ্ঠানে সম্মানীত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিপিডিসির প্রধান প্রকৌশলী (উন্নয়ন) প্রকৌশলী ডি.এস.এম ফেরদাউস। এছাড়া সেমিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, উক্ত বিভাগের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী প্রতীক কুমার ঘোষ।
আইইবি’র প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্তমানে যে প্রি-পেইড মিটার গুলো রয়েছে সে গুলো বিভিন্ন সুবিধা থাকলেও পরিচালনার ক্ষেত্রে গ্রাহককে বেশ কিছু অসুবিধায় পড়তে হয়। বর্তমান প্রি-পেইড মিটারে বিভিন্ন মাধ্যমে ভেন্ডিং (মিটারে টাকা রিচার্জ সেন্টার) সুবিধা না থাকার কারণে ভেন্ডিং-এর জন্য গ্রাহককে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটার রিচার্জ করার জন্য অনেক সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ঘরে বসে প্রি-পেইড মিটার রিচার্জ করার কোন সুযোগ নাই। অনেক সময় গ্রাহকের পক্ষে মিটারের স্ট্যাটাস দেখতেও সমস্যা হয়।
প্রকৌশলী আবদুস সবুর বলেন, বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে ভেন্ডিং (মিটারে টাকা রিচার্জ সেন্টার) সিস্টেমকে গ্রাহকের নিকট আরো সহজলভ্য করার জন্য স্মার্ট প্রি-পেইড মিটারিং সিস্টেম চালু করা প্রয়োজন। যার ফলে গ্রাহক তার মোবাইল এ্যাপস, এসএমএস, ইন্টারনেট, এটিএম ইত্যাদির মাধ্যমে ঘরে বসেই ভেন্ডিং করতে পারবেন। স্বয়ংক্রিয় ভাবে মিটারের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য স্মার্ট প্রি-পেইড মিটারিং সিস্টেম চালু করা প্রয়োজন। এছাড়া ভবিষৎতে স্মার্ট গ্রীড চালু করতে হলেও স্মার্ট মিটারের প্রয়োজন হবে। তাই বার বার বিনিয়োগের চেয়ে এক্ষেত্রে একবার বিনিয়োগ করাই যুক্তি সংগত।