চীনভিত্তিক জিটিই স্থানীয় বাজারে নিজেদের প্রথম পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজি সমর্থিত ফোন ‘অ্যাক্সন ১০ প্রো ফাইভজি’ উন্মোচন করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি)
এ ডিভাইসের ঘোষণা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। জিটিই প্রথম ফোন নির্মাতা, যারা স্থানীয় বাজারে প্রথম আনুষ্ঠানিভাবে ফাইভজি ফোন উন্মোচন করল। খবর দ্য ভার্জ।
জিটিই অ্যাক্সন ১০ প্রো ফাইভজিতে ১০৮০ পিক্সেল রেজল্যুশনের ৬ দশমিক ৪৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার হয়েছে। ডিভাইসটিতে চীনের আসন্ন ফাইভজি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সমর্থন করবে, এমন কোয়ালকমের প্রথম প্রজন্মের ‘এক্স৫০’ ফাইভজি মডেম ব্যবহার করা হয়েছে।
চীনের ডিভাইস ব্যবহারকারীদের হাতে অ্যাক্সন ১০ প্রো গতকাল থেকে পৌঁছাতে শুরু করেছে। তবে অক্টোবরের আগে ডিভাইসটি দিয়ে ফাইভজি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারবেন না ব্যবহারকারীরা।
ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চায়না মোবাইল আগামী অক্টোবরে স্থানীয় বাজারে ফাইভজির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৫০টি শহরে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি সেবা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এছাড়া চীনের আরো দুই সেলফোন অপারেটর চায়না টেলিকম এবং চায়না ইউনিকম এরই মধ্যে ফাইভজির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরুর লক্ষ্যে কার্যক্রম জোরদার করেছে।
জিটিই অ্যাক্সন ১০ প্রো উন্মোচন করে চীনের বাজারে ফাইভজি ফোনের দৌড়ে স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী হুয়াওয়েকে পেছনে ফেলেছে। হুয়াওয়ের ফাইভজি সমর্থিত মেট ২০এক্স ফাইভজি ডিভাইস ১৬ আগস্টের আগে স্থানীয় বাজারে উন্মোচনের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে যুক্তরাজ্যসহ আরো কয়েকটি বাজারে ডিভাইসটি গত মাসের শেষ দিকেই উন্মোচন করা হয়। চীনে আগস্টের মধ্যে নিজেদের ফাইভজি স্মার্টফোন উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। হুয়াওয়ের পাশাপাশি চীনভিত্তিক ওয়ানপ্লাস এবং অপো এরই মধ্যে বিশ্বের কয়েকটি বাজারে নিজেদের প্রথম ফাইভজি স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে।
জিটিইর প্রথম ফাইভজি ফোনে স্পেসিফিকেশনের দিক থেকে কী থাকছে? জিএসএম এরিনার রিভিউ অনুযায়ী, ডুয়াল সিম সমর্থিত অ্যাক্সন ১০ প্রো ফাইভজি ডিভাইসটিতে অ্যামোলেড ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে আছে। ধাতব কাঠামোর ডিভাইসটির ডিসপ্লে রেশিও ১৯.৫:৯। এতে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এসডিএম৮৫৫ অক্টা-কোর প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসটির ৬ গিগাবাইট র্যাম সংস্করণে ১২৮ গিগাবাইট এবং ৮ ও ১২ গিগাবাইট র্যাম সংস্করণে ২৫৬ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ সুবিধা মিলবে, যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১ টেরাবাইট পর্যন্ত বর্ধিত করা যাবে। এতে ডুয়াল এলইডি ডুয়াল টোন ফ্ল্যাশ সুবিধার ৪৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার এবং ২০ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা আছে। এর চার হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ারের লিথিয়াম আয়ন পলিমার ব্যাটারি দীর্ঘ সময় পাওয়ার ব্যাকআপ দেবে।