নতুন উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। ‘ই-বাণিজ্য করবো, নিজে ব্যবসা গড়বো’ স্লোগান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবার ১৭, ১৮ ও ১৯তম ব্যাচের ৭৫ জন নির্বাচিত উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অভিষেক অনুষ্ঠান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার।
এসময় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির নানা দিক তুলে ধরেন ‘ই-বাণিজ্য করবো, নিজে ব্যবসা গড়বো’ প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. হাফিজুর রহমান। তিনি জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের নিরিখে তরুণ উদ্যোক্তাদের মেধা ও প্রাণশক্তিকে কাজে লাগিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে এগিয়ে থাকতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি সরকারের মেধাভিত্তিক কর্মসংস্থান গড়ে তোলার একটি প্রয়াস। সেই প্রয়াস বাস্তবায়নে ইতিমধ্যেই ৪০০ উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ই-ক্যাব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, এখন ব্যবসায়িক সংস্কৃতি পাল্টাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার না করলে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকা যাবে না। আমরা আশা করছি অন্য সব কোম্পানি ই-কমার্স ব্যবসায় যোগ হবে। যারা বেকার তাদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। সেজন্যই ১১ দিনের এই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ই-ক্যাব কিভাবে তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে দক্ষতা ও বাণিজ্য কৌশলকে ছড়িয়ে দিচ্ছে সে বিষয়টি তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। আলোচনা করেন ই-ক্যাবের কার্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে। তমাল বলেন, ৫০ থেকে ই-ক্যাব এখন প্রায় এক হাজার সদস্যের সংগঠনে পরিণত হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা পোস্ট অফিসের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজ করতে শুরু করেছি। এর ফলে ট্রাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে সারাদেশে এখন কম খরচে স্বল্প সময়ের মধ্যে ভোক্তার কাছে ই-কমার্স ডেলিভারি পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে ই-ক্যাব।
ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৭০ লাখের ওপর নিবন্ধিত ব্যবসা রয়েছে। তাদেরকে এই ধারায় সংযুক্ত করাটা এখন সময়ের দাবি। কেননা অনলাইনে কেনাকাটায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বিদ্যমান হওয়ায় সবাই কোনো ব্যবসা শুরু করতে গেলে কিংবা কেনাকাটা করার আগে গুগল করেন।