রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। নতুন করে সংযোগও দিতে পারবে না কোনো ব্রডব্যান্ড কোম্পানি। গত ২৬শে আগস্ট কক্সবাজার জেলার কোর কমিটি’র বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সহসাই এ বিষয়ে কক্সাবাজারের বিটিসিএলকে চিঠি দেবে জেলা প্রশাসন। কোর কমিটি’র বৈঠকে ১৫ টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিয়ে কোর কমিটি’র বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তে বলা হয়, ক্যাম্পের ভেতরে কোন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে না। যেসব ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন ক্যাম্পে রয়েছে সেসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য চিঠি দেয়া হবে।
এর আগে গত রোববার টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি দেশের সব মোবাইল অপারেটরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের চিঠি দেয়।
বিটিআরসির উপপরিচালক মো. নাহিদুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিম বিক্রি বন্ধ করা, সিম ব্যবহার বন্ধ তথা মোবাইল সুবিধাদি না দেওয়া সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়। চিঠিতে বিটিআরসি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মোবাইল সুবিধা না দেওয়ার বিষয়টি আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি এ সর্ম্পকে বিটিআরসিকে জানাতে বলা হয়। তাই সীম বন্ধের পর ব্রডব্যান্ড সুবিধাও বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কোর কমিটি’র বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তে বলা হয়, ক্যাম্পে নগদ টাকা অনুদান হিসাবে দেয়া যাবে না। এনজিও সংস্থাগুলো যাতে নগদ টাকা কোন অনুদান প্রদান না করে ওই বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। ক্যাম্প এলাকায় মাদক ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পের ভেতরে এবং ক্যাম্প সংলগ্ন যেসব বাজারে অবৈধ বিদেশি (বিশেষ করে মিয়ানমার) পণ্য বেচাকেনা হয় সেসব বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এখন থেকে প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দিতে পারবে না এনজিওগুলো। রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় কোন কোন দ্রব্য দেয়া যাবে এবং কোন কোন দ্রব্য দেয়া যাবে না তার একটি তালিকা এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে পাঠানো হবে। এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর তালিকা অনুযায়ি দ্রব্য দিতে পারবে এনজিওগুলো। কোর কমিটি’র বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের আয়বর্ধক কাজে নিয়োজিত করা যাবে না। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে ভলান্টিয়ার ও শ্রমিক নিয়োগে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এছাড়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ বা উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে এ ধরনের অনলাইন বা অন্য মাধ্যমে প্রচারনা যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের পরিস্থিতির বিষয়ে জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কক্সাবাজার জেলা প্রশাসনের কোর কমিটি’র নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মনিটরিং করা হচ্ছে।