ফাইভজি নেটওয়ার্ক অবকাঠামো সরঞ্জাম সরবরাহে নকিয়া ও এরিকসনের সঙ্গে চুক্তি করেছে জাপানের টেলিকম অপারেটর কোম্পানি কেডিডিআই। গতকাল সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী এ দুটি কোম্পানি জাপানে কেডিডিআইয়ের ফোরজি অবকাঠামোর উন্নয়ন করে ফাইভজির উপযুক্ত করে তুলবে। খবর জিডিনেট।
এ ব্যাপারে নকিয়ার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নকিয়া অনেক দিন ধরে কেডিডিআইয়ের সঙ্গে ব্যবসা করছে। টেলিকম সরঞ্জামের বর্তমান সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানও নকিয়া। ফাইভজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কেডিডিআই সেন্টিমিটার ওয়েভ ও মিলিমিটার ওয়েভ দুটো ব্যান্ডেই ফাইভজি সেবা দিতে পারবে।
এদিকে এরিকসন ২০১৩ সাল থেকে কেডিডিআইয়ের সঙ্গে কাজ করছে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে তারা ফাইভজি গবেষণা ও উন্নয়ন চুক্তি সম্পাদন করে।
এ প্রতিষ্ঠানটি জাপানি টেলিকমটিকে রেডিও অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম সরবরাহ করবে। এরিকসনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কেডিডিআই ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফাইভজি সেবা চালু করতে চায়। যেখানে জাপানের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটির ৯৩ শতাংশের বেশি এলাকা ফাইভজির আওতায় আনতে চায়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে নকিয়া ও এরিকসনের সঙ্গে একই ধরনের চুক্তি করে জাপানি টেলিকম জায়ান্ট সফটব্যাংক।
গত বছরের শেষ দিকে দুই চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে ও জিটিই থেকে কোনো সরকারি সরঞ্জাম কেনা নিষিদ্ধে পদক্ষেপ নেয় জাপানি সরকার। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র সরকার হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করায় এ ব্যাপারে আরো কঠোর হয়েছে জাপান।
তবে সুইডিশ টেলিকম সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এরিকসনও বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে। এরিকসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই বিষয়টির জন্য তারা ১০০ কোটি ডলার আলাদা করে রেখে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চার বছরব্যাপী তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এরিকসন চীন, জিবুতি, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, সৌদি আরব ও ভিয়েতনামে ব্যবসায়িক নীতি লঙ্ঘন করেছে। ২০১৭ সালে এ তদন্ত শেষ হয়।