বিটিআরসির দাবি করা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার মধ্যে আপাতত গ্রামীণফোন কত টাকা দিতে পারবে তা জানতে চেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মধ্যে তা আদালতকে জানাতে গ্রামীণফোনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওইদিন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
অ্যাডভোকেট এ এম আমিনউদ্দিন ও ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস গ্রামীণফোনের পক্ষে এবং বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা দাবি করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দেওয়া চিঠির কার্যকারিতার ওপর হাইকোর্ট গত ১৭ অক্টোবর এক আদেশে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন। অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আবেদন আপিল বিভাগে এই আবেদন করে।
এর আগে প্রায় ২৭টি খাতে ১২ হাজার ৫শ ৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা (নিরীক্ষা আপত্তির দাবি) দাবি করে গ্রামীণফোনকে গত ২ এপ্রিল চিঠি দেয় বিটিআরসি। এই চিঠির বিরুদ্ধে ঢাকার নিম্ন আদালতে মামলা করে গ্রামীণফোন। মামলায় অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে। গত ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দেয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন। ওই আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আগামী ৫ নভেম্বর আপিলের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। একইসঙ্গে গ্রামীণফোনের কাছ থেকে টাকা আদায়ের ওপর দুইমাসের অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন।