ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এর ফলে নতুন প্রজন্মের উজ্জ্বল আগামী নিশ্চিত করা সম্ভব। ডিজিটালাইজেশনের ধারাবাহিকতায় প্রচলিত শিক্ষা সমাজ পরিবার এবং রাষ্ট্রের জন্য কোন কাজে আসবে না। আমাদের তরুণরা খুবই মেধাবী। উপযোগী শিক্ষায় তাদের গড়ে তুলতে পারলে এই তরুণরাই হবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের সৈনিক Ñ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কারিগর।
মন্ত্রী গতকাল সোমবার নেত্রকোণা জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন নেত্রকোণা কর্তৃক শেখ হাসিনা বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট জমি হস্তান্তর ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বিশ^বিদ্যালয়, নেত্রকোণার উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীর প্রতীক), যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, নেত্রকোণার ডেপুটি কমিশনার মঈনউল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সি, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিয়র রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায় এবং পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
কম্পিউটারে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাবা-মা যারা চলিত পদ্ধতি ও প্রচলিত শিক্ষায় নিজের সন্তানদের বড় করছেন তাদের সন্তানরা সেই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বর্তমান সময়ে সামনে থাকতে পারবে না, নেতৃত্ব দিতে পারবে না। তাদের যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য যতরকম প্রচেষ্টা প্রয়োজন সবটুকু করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার। সুযোগ তৈরি হয়েছে আরও হবে। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, পড়াশোনা হচ্ছে আর ছেলেমেয়েদের সার্টিফিকেট দিচ্ছি। যখন কর্মসংস্থানের প্রয়োজন তখন তা দিতে পারছি না। এজন্যই বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। আমাদের ইনস্টিটিউটগুলো সেই জায়গায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা রাখি।
নেত্রকোণা ও শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মন্ত্রী বলেন, নেত্রকোণাকে একসময় ৬৪ তম জেলা হিসেবে বলা হতো। কিন্তু আজ আর সেই কথার ভিত্তি নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নেত্রকোণা জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে এতে আমরা নেত্রকোণাবাসি গর্বিত। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে আপনার আমার সন্তানরা নিজের ক্লাস রুমে বসে বিশ্ববিখ্যাত মানুষের কথা শুনতে পারবেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা থেকে এসে শিক্ষা দান করবেন শিক্ষকরা।। দেশের এগারোটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব করা হয়েছে এর মধ্যে নেত্রকোনা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় একটি, উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, মেধার দিক থেকে পিছিয়ে নেই নেত্রকোণা। এখানে হাওর-পাহাড় আর খোলা আকাশের নিচে মুক্ত বাতাসে বেড়ে ওঠে সবাই। আকাশের মতো তাদের মন অনেক বড়, তারা অনেক বেশি মেধাবী সুতরাং সেই মেধা কাজে লাগাতে হবে। মেধাবীরা হচ্ছে ডিজিটাল যুগের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ক্যাম্পাসের জন্য অধিগ্রহণকৃত ৪ শত ৯৮ দশমিক ৪৫ একর জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রথম পর্যায়ে ১০ জন জমির মালিককে চেক প্রদান করা হয়।