হুয়াওয়ের ‘গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স ২০১৯’-এর ‘টপ মুভার’ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল অর্থনীতি অগ্রগতিতে এ তালিকায় থাকা বাকি তিন দেশ হলো ইউক্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আলজেরিয়া। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডিজিটাল অর্থনীতিতে গোটা বিশ্বের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স (জিসিআই) ডিজিটাল বিকাশের ওপর হুয়াওয়ে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন, যা আইসিটি উদ্ভাবন ও আইসিটি অ্যাপ্লিকেশন কীভাবে জাতীয় অর্থনীতির বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারে এবং শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়, থিংক ট্যাংকস ও শিল্প সমিতিগুলোর সঙ্গে ডিজিটাল অর্থনীতিতে মুক্ত গবেষণা পরিচালনা করে তৈরি করা হয়। এ গবেষণার লক্ষ্য হলো দেশ ও শিল্পকে ডিজিটাল রূপান্তর সম্পর্কিত অনুমোদন, দিকনির্দেশনা এবং এর অগ্রগতির সঠিক মূল্যায়ন তুলে ধরা। ২০১৪ সাল থেকে হুয়াওয়ে প্রতি বছর সরবরাহ, চাহিদা, অভিজ্ঞতা ও সম্ভাবনা—এ চার ক্ষেত্রের ৪০টি সূচকের ভিত্তিতে জিসিআই প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।
জিসিআই ২০১৯ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরেরও কম সময়ের পথচলায় গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্সে ৭ পয়েন্ট এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের পর বাংলাদেশে সেলফোন ব্যবহারকারী ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪১ শতাংশে পৌঁছেছে। একই সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ৭ থেকে বেড়ে ৩৪ শতাংশে পৌঁছেছে। এছাড়া সেলফোন ও বাসাবাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ তাত্পর্যপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেছে।
বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ সবেমাত্র ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগোচ্ছে। এসব দেশও ‘ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টিভিটি’ কাজে লাগিয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টিভিটি থেকে কেবল উন্নত দেশগুলোই লাভবান হবে এমন নয়, বরং যেকোনো দেশ সম্ভাবনাময় নতুন এ খাতকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ঘটিয়ে সামগ্রিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারে। ডিজিটাল উন্নয়নে একটি দেশের অবস্থান যেখানেই থাকুক না কেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংযোগ কাজে লাগিয়ে কীভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো যায়, তা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের এখনই ভাবা উচিত।