ঢাকা শহরে প্রতিনিয়ত পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হবার মূল কারন হচ্ছে নিরাপদ এবং জীবাণুমুক্ত পানি না ব্যবহার করা। পানির ট্যাংক এবং পাইপ পরিস্কার না থাকা এর অন্যতম কারন। ওয়াসার নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন দুইবার প্রতি বছর পানির ট্যাংক পরিস্কার করতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ বাড়িওয়ালাই এ বিষয়ে সচেতন নন। আবার অনেকে বাসাবাড়ির ট্যাংক পরিস্কার করলেও বিজ্ঞানসন্মতভাবে পরিস্কার করেন না যার ফলে ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকেই যায়। তরুণ উদ্যোক্তা আতিকুল ইসলাম ও তাসদীখ হাবিবের “ক্লিন ফোর্স” অত্যাধুনিক এবং বিজ্ঞানসন্মতভাবে পানির ট্যাংক পরিস্কার সেবা দিচ্ছে।
২০১৮ সালে রমজান মাসে একদিন ইফতারের আগমুহূর্তে বেসিন থেকে নোংরা পানি বের হওয়া শুরু করলে এরকম উদ্যোগ শুরু করার চিন্তা করেন তাসদীখ হাবিব এবং তার মামা আতিকুল ইসলাম। এরপর জুলাই ফেসবুকে ট্যাংক পরিস্কারের সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালুর মাধ্যমে শুরু হয় ক্লিন ফোর্সের পথচলা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা মেনে আধুনিক যন্ত্রাংশ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী নিয়ে স্বাস্থ্যসন্মত আটটি ধাপে ট্যাংক পরিস্কার করে ক্লিন ফোর্স। এখন পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটনের পুরো এলাকা, সাভার, নারায়নগন্জ ও গাজীপুরের বেশ কিছু শিল্প এলাকায় সেবা দিচ্ছে ক্লিন ফোর্স।
২০১৮ সালে মাত্র ৩ জন কর্মী নিয়ে শুরু করা ক্লিন ফোর্সের বর্তমান কর্মী সংখ্যা ৪৭। এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি বিল্ডিং এবং সাত হাজারের বেশি ট্যাংক পরিস্কার করেছে ক্লিন ফোর্স।
ক্লিন ফোর্সের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাতে অবদান রাখতে চেষ্টা করছেন তারা, তাই ক্লিন ফোর্স একটি সামাজিক উদ্যোগ। পুরাতন পদ্ধতিতে ট্যাংক পরিস্কার না করে প্রত্যেক বাড়িওয়ালাই বিজ্ঞানসন্মত উপায়ে বছরে অন্তত দুইবার নিজেদের বাসাবাড়ির ট্যাংক পরিস্কার করবেন- এমন আশা প্রকাশ করেন তাসদীক হাবিব।