আসছে জুলাই থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে আর লাইটনিং চার্জারের ফোন বিক্রি করতে পারবে না অ্যাপল। সব মোবাইলে থাকতে হবে একই পোর্টের চার্জার – সম্প্রতি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ভোটে এমন সিদ্ধান্তই উঠে এসেছে।
ওই ভোটাভুটির ফলেই অ্যাপলকে এখন বদলে ফেলতে হবে ‘লাইটনিং চার্জার’।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ভোটে ‘সব মোবাইলে একই ধরনের চার্জারের’ পক্ষে ভোট এসেছে ৫৮২টি, আর বিপক্ষে ভোট এসেছে ৪০টি। ইউরোপের ‘ই-বর্জ্য’ কমানোর লক্ষেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।
গত সপ্তাহেই এমন সিদ্ধান্তের বিপক্ষে কথা বলেছে অ্যাপল। এ বিষয়ে মার্কিন এই প্রযুক্তি জায়ান্টের বক্তব্য ছিল, আইফোনে লাইটনিংয়ের পরিবর্তে ইউএসবি-সি কানেক্টর ব্যবহারে বাধ্য করলে তা “অভাবনীয় পরিমাণ বৈদ্যুতিক বর্জ্য” বাড়াবে। কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, “লাইটনিং কানেক্টর রয়েছে এমন শত কোটিরও বেশি অ্যাপল ডিভাইস রপ্তানি করা হয়ে গেছে। এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে পুরো ‘অ্যাকসেসরিজের’ ইকোসিস্টেম এবং রয়েছেন ডিভাইস উৎপাদনকারী যারা লাইটনিং পোর্ট ব্যবহার করে।”
এর আগেও একবার নিজেদের আইফোনের চার্জার বদলেছিল অ্যাপল। ২০১২ সালে আইফোনকে ৩০ পিনের কানেক্টর থেকে লাইটনিং কানেক্টরে নিয়ে এসেছিল তারা।
মাইক্রো-ইউএসবি’কে ‘মান’ হিসেবে ধরা হয়েছিল ২০১০ সালে। ওই মান মেনে নিজেদের ভিন্ন পোর্টের জন্য ‘অ্যাডাপ্টর’-ও সরবরাহ করছিল অ্যাপল। এমনকি নিজেদের ম্যাকবুক এবং আইপ্যাড প্রো ডিভাইসের জন্য ‘ইউএসবি-সি’ কানেক্টর ব্যবহার করাও শুরু করেছে অ্যাপল। কিন্তু আইফোনের চার্জার আর বদল হয়নি, লাইটনিং পোর্টেই রাখা হয়েছিল।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি অ্যাপল। নতুন সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২০ সালের জুলাইয়ের মধ্যে অ্যাপলকে পাল্টে ফেলতে হবে চার্জার।