আমলাতন্ত্র, কম বিনিয়োগ ও জবাবদিহিতার অভাবে টেলিটক বিকশিত হচ্ছে না বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। অপারেটরটি নিয়ে সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জিডিপি’তে টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান প্রায় ৬.৫ শতাংশ। এত বিপুল সম্ভাবনার একটি খাত থেকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অর্জন প্রায় শূণ্যের কোটায়।
তিনি বলেন, ১৬ কোটি ২০ লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৪৮ লক্ষ। বর্তমানে টেলিটক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, সাংসদ ও মন্ত্রী পর্যায়েও টেলিটক ব্যবহার করার নজির পাওয়া যায় না।
তিনি আরো কিন্তু কেন এমন দশা এ প্রশ্ন খুঁজতে গিয়ে আমরা লক্ষ করেছি যে, টেলিটকের সেবার মূল্য অন্যান্য অপারেটরের তুলনায় কম। ২জি নেটওয়ার্ক সারাদেশব্যাপী রয়েছে তবে তা দুর্বল। ৩জি নেটওয়ার্ক সারাদেশ ব্যাপী নেই। ৪জি নেটওয়ার্ক রয়েছে শুধুমাত্র ঢাকায়। রিটেলার সংখ্যা খুবই নগন্য। মোবাইল ব্যাংকিংই রিচার্জ করার একমাত্র ভরসা।
টেলিটকের দুর্বল ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিটিসিএল থেকে আগত, তাছাড়া জিএম, ডিজিএম, এজিএম সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিটিসিএল বা ডাক বিভাগ থেকে বদলী হয়ে আসা। প্রচলিত কথা আছে মন্ত্রণালয়ে তদবির করে লাভজনক বলে অনেকেই টেলিটকে বদলী হয়ে আসেন। এসব কর্তাব্যক্তিদের জবাবদিহিতা কোথায়, প্রশ্ন রাখেন মহিউদ্দিন আহমেদ।
তার দাবি, টেলিটকে জবাবদিহিতার কোন বালাই নাই। টেলিটকের এমডি নিজেই দুটি প্রকল্পের পরিচালক। গ্রাহকদের প্রতিনিধিদের সাথে উনারা কথা বলতে চান না। দুর্নীতি-অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা এখানে একাকার। টেলিটকের কাছে বিটিআরসির পাওনা রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৬ শত কোটি টাকা। যা কিনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ইকুইটির জন্য রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে দক্ষ জনবলের অভাব নেই তবে সুশাসনের রয়েছে চরম অভাব।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন সভাপতি আরো বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক চায় তার অর্থ রাষ্ট্রেই থেকে যাক। বর্তমানে আমরা ৩.৮ বিলিয়ন ডলার কথা বলতে ব্যয় করছি। যার ৯০ ভাগই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিয়ে যাচ্ছে।