সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের গ্রাহকরা একটি রহস্যময় বার্তা পেয়েছিলেন। ওই সময় ‘ফাইন্ড মাই মোবাইল’ লেখা বার্তাটি দেখে অনেক ব্যবহারকারী হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন ভেবে বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন। গ্রাহকের এ ধারণা যে সত্য ছিল এবং এ ত্রুটির কারণে প্রায় ১৫০ জন ব্রিটিশ গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে স্বীকার করেছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাং।
গত সপ্তাহে স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল অভ্যন্তরীণ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে বার্তাটি ব্যবহারকারীদের ফোনে চলে গিয়েছিল। তবে আপাতদৃষ্টিতে এ নোটিফিকেশনের ঘটনা ঘটার প্রায় একই সময়ে আরেকটি ত্রুটির কারণে স্বল্পসংখ্যক গ্রাহকের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ। একটি তদন্তের ফলস্বরূপ এ বার্তার পেছনে ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন ব্যবহারকারীরা।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, নোটিফিকেশন ত্রুটির পাশাপাশি আরেকটি ত্রুটির কারণে সীমিতসংখ্যক গ্রাহকের ডাটা অ্যাকসেস করতে পেরেছে হ্যাকার গোষ্ঠী। এ তথ্যগুলোর মধ্যে গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর, পোস্টাল ও ই-মেইল অ্যাড্রেস রয়েছে। তবে গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ডের তথ্যগুলো সুরক্ষিত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে স্যামসাংয়ের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে জানার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত স্যামসাংয়ের ওয়েবসাইটে লগ ইন করার সব ক্ষমতা বন্ধ করে রেখেছি। স্যামসাংয়ের যুক্তরাজ্য ওয়েবসাইটে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে অনিচ্ছাকৃতভাবে তথ্য ফাঁস হয়েছে এবং এতে ১৫০ জন ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এছাড়া আরো যেসব গ্রাহক বার্তাটি পেয়েছিলেন এবং তাদের তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে, সেসব গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে স্যামসাং। এ ঘটনায় ভারতের ব্যবহারকারীরাও প্রভাবিত হয়েছে কিনা, তা জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। তবে স্যামসাং গ্রাহকদের শেয়ার করা টুইটারগুলো দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এ সময় ভারতে কিছু ব্যবহারকারীও বার্তাটি পেয়েছিলেন।