কোভিড-১৯ মহামারীকে পুঁজি করে ‘ফিশিং অ্যাটাকের’ সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এতে পিছিয়ে নেই রাষ্ট্রীয় সমর্থনপুষ্ট হ্যাকাররাও। গুগলের দাবি, করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে রাষ্ট্রীয় সমর্থনপুষ্ট হ্যাকারদের এক ডজনের বেশি ফিশিং অ্যাটাক ও ম্যালওয়্যার ছড়ানোর প্রচেষ্টা শনাক্ত করা গেছে।
ফিশিং হামলায় সাধারণত গ্রাহককে একটি ভুয়া ইমেইল পাঠানো হয়। ইমেইলে অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট নিরাপদ করার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং অ্যাকাউন্টে লগইন করতে বলা হয়। গ্রাহক লিংকে ক্লিক করে তার পাসওয়ার্ড ইনপুট দেন এবং দুই স্তরের যাচাই ব্যবস্থা চালু করা থাকলে একটি নিরাপত্তা কোডও দিতে বলা হয়। এই পুরো ঘটনাটি ঘটে হ্যাকারের তৈরি করা কোনো সাইটে যেটি দেখতে মূল সাইটটির মতো দেখায়।
এভাবে গ্রাহকের দেওয়া পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়ে অ্যাকাউন্টের দখল নিতে পারে হ্যাকাররা। মাছ ধরার টোপের সঙ্গে মিল আছে বলে একে বলা হয় ফিশিং অ্যাটাক।
বুধবার সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির বরাতে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, হ্যাকাররা এ পন্থায় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য বানাচ্ছে বলে জানতে পেরেছে গুগলের থ্রেট অ্যানালাইসিস গ্রুপ।
এপ্রিল মাসের শুরুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয়েছে বলে এর আগে রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসেছে।
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য সংস্থা। মহামারী নিয়ে তথ্য বের করতে এই সংস্থাগুলোতে হ্যাকারদের নজরও বেড়েছে।
এর আগে গুগল দাবি করেছে, প্রতিদিন এক কোটি ৮০ লাখ ম্যালওয়্যার এবং ফিশিং জিমেইল শনাক্ত করা হচ্ছে।
এক ব্লগ পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, “লক্ষ্যণীয় একটি হামলায় মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। মার্কিন ফাস্ট ফুড ফ্র্যাঞ্চাইজ এবং কোভিড-১৯ বার্তার মাধ্যমে তাদেরকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ”
গুগল জানিয়েছে, অভ্যন্তরীন তদন্ত টুল এবং এই খাতের অংশীদার ও আইন প্রয়োগকারী দলের সঙ্গে তথ্য শেয়ারের মাধ্যমে এবং তৃতীয় পক্ষের গবেষকদের সহায়তায় ঝুঁকি শনাক্ত এবং আটকানোর চেষ্টা চলছে।