গেলো রমজানে মার্কেটে গিয়ে ঈদের কেনাকাটা ছিলো অসম্ভব। দোকান মালিকদের মধ্যে ছিলো ব্যবসা করতে না পারার অসন্তোষ। ঈদে বিদেশী কোনো পণ্যই বাজারে আনতে পারেনি বিক্রেতারা। অন্যদিকে দেশীয়পণ্যের ই-কমার্স এবং এফ কমার্সের ছিলো রমরমা বাজার। চলছিলো ক্রেতাদের কেনাকাটার ধুম আর দেশীয়পণ্যের উদ্যোক্তাদের আকাশছোঁয়া বিক্রি। এই বিকিকিনির সময়ে তৈরি হয়েছে হাজারও বাস্তব গল্প। খুলনার পণ্য ঢাকায় ফ্রি চার্জে ডেলিভারি এবং ক্রেতার আনন্দের গল্প লিখছেন মেহজাবীন রাখী।
খুলনার উদ্যোক্তা ফৌজিয়া ডেইজি, কাজ করছেন হাতে আঁকা দেশীয় শাড়ী নিয়ে। করোনা পরিস্থিতিতেও তিনি খুলনা ও ঢাকায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পণ্য পৌঁছে দিয়েছেন ক্রেতার বাসায়। ঝুঁকি নিয়ে মাঝেমধ্যে নিজেও পণ্য পৌছে দিয়েছেন নিজ শহর খুলনাতে। ক্রেতার আনন্দে যেন ভাটা না পড়ে সেই জন্যে ঈদের আগের দিনেও বাড়তি খরচ দিয়ে অব্যাহত রেখেছেন। অর্ডারকৃত শাড়ীটি ঢাকায় পৌছার পর ক্রেতা যেকোন কারণে ক্যানচেল করেন ক্যানসেল টি। তারপর ফৌজিয়া ডেইজি নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে শাড়ীটির ছবি সহ পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ঢাকার ফার্মগেট এলাকার ফারহানা কানন লাকী অর্ডার করেন শাড়ী টি। ফারহানা কানন লাকী বলেন- এই পরিস্থিতিতে মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা করা সম্ভব হয়নি। ফেসবুকে নিউজ ফিডে শাড়ীটি উইয়ের উদ্যোক্তার দেখে অর্ডার করে ফেলি।
তিনি আরো জানান সারাদেশে যখন কুরিয়ার সার্ভিস গুলোর অব্যবস্থাপনায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছি, সেখানে খুলনার উদ্যোক্তা ফৌজিয়া ডেইজির থেকে ২৯ তম রমজানে ফ্রি হোম ডেলিভারি পাচ্ছি এটাই ছিলো অনেক আনন্দের।
ফৌজিয়া ডেইজি জানান হোম ডেলিভারির মতো চ্যালেঞ্জিং বিষয়টিকে সম্মান জানাতে উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর সম্মানিত উপদেষ্টা এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি রাজিব আহমেদ উই ফেইসবুক গ্রুপে শাড়ীর ছবি সহ পোস্ট দেন। এই ছিলো আমার জন্য খুব স্পেশাল। তিনি আরো বলেন এই পরিস্থিতিতে ক্রেতা ফারহানা কানন লাকীর সহযোগীতা আমাকে মুগ্ধ করেছে।