সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দফায় দফায় পার পেয়ে গেলেও এবার আর শেষরক্ষা হয়নি তার। এখন প্রতিদিনই প্রকাশ হচ্ছে তার অপকর্মের ফিরিস্তি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিস্তর চর্চা হচ্ছে প্রদীপকে নিয়ে। এবার তার উপদেশ সম্বলিত বিলবোর্ডের ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে।
যেখানে লেখা রয়েছে, প্রিয় অভিভাবক, আপনার সন্তানকে নৈতিক শিক্ষা দেয়া আপনার নৈতিক দায়িত্ব। নজর রাখুন সে কার সাথে মেলামেশা করছে।
এদিকে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ তিন অভিযুক্তকে রিমান্ডে পেলেও এখনো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে পারেনি র্যাব। মামলার আলামত এখনো হাতে না পাওয়া এবং সাক্ষী সিফাত-শিপ্রা দেবনাথের জামিনের অপেক্ষার কারণে রিমান্ড কার্যকরে বিলম্ব হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুজনই জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এবার দুই সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্ত তিনজনকে রিমান্ডে নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে র্যাব সূত্র।
আদালতের নির্দেশনা মতে, চার আসামির জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলেও মূল অভিযুক্ত তিনজনকে গত চার দিনেও রিমান্ডে নেয়া যায়নি। রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মামলার এক নম্বর আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী, দুই নম্বর আসামি টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তিন নম্বর আসামি পুলিশের সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত। বৃহস্পতিবার তাদের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
পাশাপাশি পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই জিজ্ঞাসাবাদ আজ সোমবার শেষ হয়েছে।
এদিকে এই চার অভিযুক্তকে নতুন করে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে র্যাব।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনাটি দেশ-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে।