তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫৫ বছর জীবনের প্রায় দীর্ঘ ১৪ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন লাঞ্চিত- বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের নেতা, বাঙালি জাতির প্রেরণার নিরন্তন উৎস। তিনি বলেন শৈশব, কৈশোর থেকেই বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের সাথে কখনো আপস করেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন শুধু চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে ছাত্রত্ব বিসর্জন দিয়েছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে “স্বেচ্ছায় কনভালেসেন্ট প্লাজমা ডোনেশন” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন বঙ্গবন্ধু নির্লোভ ও ত্যাগী ছিলেন। তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত হয়ে সারা বাংলাদেশকে সুসংগঠিত করার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে বাঙালি জাতির ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে গেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক ও সুনাগরিক হিসাবে যার যতটুকু কর্তব্য দায়িত্ব রয়েছে সেটি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা মানসিকতার সাথে বাস্তবায়ন করলে সেটি বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে।
সন্ধানী বাংলাদেশ এর সেবাধনী কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি বলেন রক্তের প্রয়োজনে একজন মানুষও যেন মৃত্যুবরণ না করে সে লক্ষ্যে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে আর্তমানবতার সেবায় কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। রক্তদান , চক্ষুদান এবং আজকে প্লাজমা দান কর্মসূচি শুরুর মধ্য দিয়ে আরেকটি সেবাধনী কার্যক্রম চালু করল।
তিনি বলেন করোনাকালীন বৈশ্বিক মহামারী থেকে উত্তরনের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অসীম সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার দিয়ে মোকাবেলা করে যাচ্ছেন। চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে কাজ করছে । অনেকে জীবন পর্যন্ত দিয়েছেন।
তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের তত্ত্বাবধানে গত ১১ বছরে প্রযুক্তিখাতের যে অবকাঠামো তৈরি হয়েছে এর মাধ্যমে করাটা করোনাকালীন সংকট কালীন সময়ে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন ৭১ এর পরাজিত ঘাতকেরা ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামকে জননেত্রী শেখ হাসিনা সফল করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু .. নীতি ও জীবনাদর্শ কে অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের আধুনিক রূপ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রযুক্তিনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে চিকিৎসকসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডাক্তার রফিকুল আলম সন্ধানী বাংলাদেশের সভাপতি তানভির হাসান ইকবাল ও অধ্যাপক ডাক্তার শাহানারা বেগম।
এসময় করোনা কে জয় করে আবার মানুষের জীবন বাঁচাতে প্লাজমা দান করতে এগিয়ে আসা শামীম গাজী ও অর্ণব সাহা উপস্থিত ছিলেন পরে প্রতিমন্ত্রী বিএসএমএমইউতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।