দুই বছর পর সাগরের তলদেশ থেকে তোলা হয়েছে মাইক্রোসফটের সার্ভার। পানির নিচে এই সার্ভার পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে দাবি করছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৮ সালে স্কটিশ সাগরের ১১৭ ফুট গভীরে ডুবানো হয়েছিলো মাইক্রোসফটের এই ডেটা সেন্টারটি। ৮৬৪টি সার্ভার এবং ২৭.৬ পেটাবাইট স্টোরেজ রয়েছে এতে।
সোমবার ডেটা সেন্টারটি সাগরের তলদেশ থেকে ওপরে ওঠানোর পর প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে পরীক্ষা সফল হয়েছে। মাইক্রোসফটের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ জানিয়েছে, এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল বলছে পানির নীচে ডেটা সেন্টারের এই পরিকল্পনা আসলেই অনেক ভালো একটি পদক্ষেপ।
ওপর থেকে সাগরের তলদেশে পুরো একটি ডেটা সেন্টার ডুবিয়ে রাখার পরিকল্পনাটি উদ্ভট মনে হতে পারে। তবে, মাইক্রোসফটের প্রজেক্ট ন্যাটিক দলের তত্ত্ব অনুযায়ী এই পরিকল্পনার মাধ্যমে আরও নির্ভরযোগ্য এবং শক্তি সাশ্রয়ী ডেটা সেন্টার বানানো যেতে পারে।
ভূমিতে ডেটা সেন্টারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, অক্সিজেন এবং আর্দ্রতার ক্ষয় ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ। এদিকে পানিনিরোধী ব্যবস্থায় পোক্তভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করলে সমস্যাগুলো অপেক্ষাকৃত কম।
সাগরের তলদেশে ডেটা সেন্টারের পেছনের ধারণাটি হলো, এই সার্ভারগুলো ছোট বা বড় আকারে সহজে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে সক্রিয় করা যেতে পারে। এতে আরও বেশি অঞ্চলে ক্লাউডভিত্তিক রিসোর্সগুলোতে আরও ভালো লোকাল অ্যাকসেস দেওয়া সম্ভব হবে।
মাইক্রোসফট দাবি করছে, ভূমিতে থাকা ডেটা সেন্টারের তুলনায় সাগরের তলদেশের ডেটা সেন্টারের ব্যর্থতার হার আট ভাগের এক ভাগ, যা নাটকীয় উন্নতি।
পানিতে ডুবানো ডেটা সেন্টারের ধারণা নিয়ে অনেক দিন ধরেই কাজ করছে মাইক্রোসফট। ২০১৫ সালেও ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে কয়েক মাসের জন্য একটি ডেটা সেন্টার ডুবিয়েছিলো প্রতিষ্ঠানটি। কম্পিউটার ব্যবস্থাগুলো এই পরিবেশে ঠিকঠাক কাজ করছে কি না, তা প্রমাণ করাই ছিলো ওই প্রকল্পের লক্ষ্য।