পেনড্রাইভ কী জিনিস তা আমরা সবাই কমবেশি জানি তাই না?অনেকে এটা নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারও করে থাকি। অনেকে মনে করেন যে ফ্রি ফ্রি রাস্তা বা অন্য কোন যায়গায় পরে থাকা পেনড্রাইভ পেলে মন্দ হয় না। কিন্তু তারা নিজেদের সাইবার নিরাপত্তার কথা একবারও ভেবে দেখেননা। তারা একবারও ভাবার চেষ্টা করেন না যে এটি করলে নিজের কেমন ক্ষতি হতে পারে?রাস্তা থেকে শুধু একটি পেনড্রাইভ নিজের ডিভাইসে লাগালে কি জেল-জরিমাণা হতে পারে?
চলুন জেনে নেই রাস্তায় পরে থাকা পেনড্রাইভ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে সাইবার অপরাধের পরিমাণ ততি বেড়ে যাচ্ছে।আর এই সাইবার অপরাধ ঠেকাতে সাইবার নিরাপত্তা প্রসাসন বেশ কঠোরও হচ্ছে।কিন্তু আমরা যদি নিজেরা সচেতন হতে না পারি তাহলে এই অপরাধকে দমন করা সম্ভব না। এই কথাগুলো হয়ত আপনার সের আগেও শুনেছেন কিন্তু এই পেনড্রাইভের সাথেই বা এর সম্পর্কে কী? আসলে এই সাইবার অপরাধের সাথে এই পেনড্রাইভের ব্যাপক সম্পর্কে আছে। একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে হ্যাকাররা তাদের দলের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করতে এই ধরণের কাজ করে থাকে। তারা একটি নির্দিষ্ট স্থানে তাদের সেই পেনড্রাইভ রেখে যায় আর আরেকজন হ্যাকার সেইখান থেকে দরকারী তথ্য নিয়ে নেয়। তবে এগুলো ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকাররা করে থাকে যাদের সাইবার অপরাধী বললে ভুল হবে না।আর তারা যেহেতু হ্যাকার তারা জানে কিভাবে নিজেদেরকে আরাল করতে হয় আর আপনি যদি সাধারণভাবেই সেই পেনড্রাইভ লাগান তাহলে আপনাকেই সাইয়ার অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। শুধু তাই নয় এমন ধরণের পেনড্রাইভে নিজেদের তথ্য গোপন রাখতে হ্যাকাররা বিভিন্ন ধরণের ম্যালওয়্যার রেখে দেয় যার ফলে আপনি শুধু শুধু আপনার ডিভাইসে লাগালে আপনাকে সাইবার অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করা না হলেও আপনার ডিভাইসের উপর সম্পূর্ণ দখল নিয়ে নিতে পারে এই ধরণের ম্যালওয়্যার।
তাই এমন কোন পেনড্রাইভ দেখলে সেটা না লাগিয়ে যেকোনভাবে নষ্ট করে দিন।এতে আপনি সহ অনেকে সুরক্ষিত তো থাকবেই পাশাপাশি সাইবার অপরাধ একটু হলেও কমে যাবে।