গুগল প্লে স্টোরে থাকা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহারকারীর কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করেছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে থাকি । তার মধ্যে কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেগুলো আমাদের সর্বদাই ব্যবহার করতে হয় । অর্থাৎ এগুলো ব্যবহার না করলে আমাদের দিন কাটে না। তার পাশাপাশি রয়েছে যেগুলো আমাদের খুব একটা কাজে আসে না৷
কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আজকে আপনাদের সাথে এমন কিছু অ্যাপ্লিকেশন শেয়ার করতে চলেছি যেগুলো আমার পাশাপাশি আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে আসতে পারে।
প্রথমত লাস্টপাস:
লাস্টপাস একটি চমকপ্রদ এবং দুর্দান্ত অ্যাপ্লিকেশন৷ এটি একাধারে আপনি এক্সটেনশন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এবং তার পাশাপাশি আপনার এন্ড্রয়েড ফোনটিতে অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন৷
গুগল প্লে স্টোর থেকে সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন লাস্টপাস অ্যাপ্লিকেশন। লাস্টপাস অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে থাকলে আপনাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড একসাথে মনে রাখতে হবে না। কেবলমাত্র লাস্টপাস অ্যাপ্লিকেশন বা এক্সটেনশন টির পাসওয়ার্ড মনে রাখলেই চলবে৷ এবং সেই কারণেই এখানে খুব স্ট্রং পাসওয়ার্ড দিতে হবে। যখন আপনি কোন ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ্লিকেশনের সাইন ইন করতে যাবেন তখন একটি সরাসরি আপনাকে সেখানকার পাসওয়ার্ড সাজেস্ট করবে৷
অনেক কিবোর্ড রয়েছে যেখানে এরকম সুবিধা রয়েছে৷ কিন্তু সেখানে কিবোর্ডের লগইনের কোন নিরাপত্তা নেই। সে কারণেই লাস্টপাস ব্যবহার করা একদিকে যেমন সহজ অপরদিকে নিরাপদ।
এয়ার্ড্রয়েড!
এয়ার্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনটি খুবই উপকারী। অনেকেই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে থাকেন৷ আমিও বলতে গেলে প্রায় ৪-৫ বছর ধরে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করছি৷ এই অ্যাপ্লিকেশনের বিশেষত্ব হচ্ছে, এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ফাইল ট্রান্সফার করতে পারবেন৷ পিসি থেকে মোবাইলে অথবা মোবাইল থেকে পিসিতে৷ সাধারণত আমরা যখন মোবাইল থেকে পিসি অথবা পিসি থেকে মোবাইলে ফাইল আদান প্রদান করি তখন সেই ক্ষেত্রে বারবার আমাদের ক্যাবল সংযোগ দিতে হয়৷
অথবা ব্লুটুথ অন করতে হয়৷ তবে এই ক্ষেত্রে সেই সকল ঝামেলা নেই৷ তার পাশাপাশি আপনি আপনার মোবাইলটিকে মিরর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ আপনার মোবাইলের ক্যামেরা তে যে সকল ভিডিও ক্যাপচার হবে তা সরাসরি সম্প্রচারিত হবে আপনার কম্পিউটারে৷
খুব দ্রুত ফাইল ট্রান্সফার করতে পারে এই এপ্লিকেশন্টি৷ একদম ওয়্যারলেসলি৷ কোন ধরনের ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয় না।
যে অ্যাপ্লিকেশনগুলোর কথা বলবো সেগুলোতে আমি সমষ্টিগত ভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। এগুলো মূলত মোবাইলে ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে খুব উপকারী।
প্রথমটি হচ্ছে লিখন অ্যাপ্লিকেশন।
লিখন অ্যাপ্লিকেশনটি হচ্ছে ছবিতে বাংলা ফন্ট আনার জন্য খুবই কার্যকরী৷ এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে প্রায় ৫০ টিরও বেশি ফ্রন্ট রয়েছে৷ এবং খুব সহজেই ছবিতে বাংলা ভাষা যোগ করতে পারবেন। ব্যবহারের ক্ষেত্রে তেমন কোন অসুবিধা করবে না৷
আরেকটি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে সেটি হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাউন্টার। এটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই শব্দ, বাক্য, প্যারাগ্রাফ সংখ্যা গুনতে পারবেন।
আর একটি চমকপ্রদ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে সেটি হচ্ছে গুগোল ভয়েস টাইপিং এটির মাধ্যমে আপনি বাংলাও লিখতে পারবেন৷ মুখের ভাষাকে সরাসরি এটি লেখায় কনভার্ট করে৷
সচরাচর আমি মোবাইলে তেমন ব্লগিং করি না৷
তবে কিছুদিন যাবত আমার পিসিটি নষ্ট ছিল সে কারণে আমি মোবাইলে এই ধরণের অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করেছি এবং এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা লাভ করেছি৷ যা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।