সারা বিশ্বে প্রায় ২৪৫ মিলিয়ন মানুষ অতিমারির সময় কাজ হারিয়েছেন। অবস্থা এতটাই সঙ্গীন যে কোন একজন মানুষকে অনেকক্ষেত্রেই পুরোনো পেশা বদলে ফেলতে হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ মরিয়া হয়ে বাঁচার নতুন নতুন উপায় খুঁজে চলেছেন। এই সংকটময় পরিস্থিতিতেই লিঙ্কডইন তাদের নতুন ক্যারিয়ার এক্সপ্লোরার পরিষেবা লঞ্চ করলো। এই টুলের সাহায্যে বেকার কিন্তু পেশাদার ব্যক্তিরা নতুন কাজ খুঁজে পাবে।
লিঙ্কডইন এর বক্তব্য আপাতভাবে আর পাঁচটা জব সার্চ ইঞ্জিনের সাথে তাদের তফাত রয়েছে। কেননা এখানে নিয়োগকারী এবং নিয়োগপ্রার্থীর মধ্যে যোগাযোগের পথ প্রশস্ত হয়। নিয়োগপ্রার্থী কর্মদাতা সংস্থার চাহিদা সম্পর্কে অবগত থাকায়, আবেদন এবং নিয়োগের প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়। নতুন ক্যারিয়ার এক্সপ্লোরার ও এই ধারাবাহিকতাকে রক্ষা করবে। এতে #হায়ারিং ফ্রেমের বৈশিষ্ট্য যুক্ত হচ্ছে। ফলে এবার প্রোফাইল পিকচার ফ্রেম দেখেই কে, কোথায় নিয়োগ করছেন, সে সংক্রান্ত খবর পাওয়া যাবে! সাথে চাকরিপ্রার্থীরা সরাসরি তাদের ফিডে জব অপরচুনিটি দেখতে পাবেন। এছাড়া থাকছে স্কিল অ্যাসেসমেন্টের ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে টপ ট্রেন্ডিং স্কিলগুলোর নিরিখে একজন কর্মপ্রার্থীর যোগ্যতা যাচাইয়ে সুবিধা হবে।
বর্তমানে ভারতীয় নিয়োগকারীরা এই ধরণের যোগ্যতা যাচাইকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে লিঙ্কডইন কর্তৃপক্ষ দাবী করেছেন। তাদের বক্তব্য অতিমারি পরবর্তীকালে চাকরির বাজারে পুরোনো ধারণাগুলি বদলে যাচ্ছে। এখন অনেকেই নিজের পূর্বতন পেশায় ফিরতে পারছেন না। আবার নতুন কোন কাজে যুক্ত হতে হলে, প্রাথমিক দক্ষতা থাকা দরকার। এই দক্ষতা আজ লিঙ্কডইন বা Coursera এর অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। এই কোর্সগুলি এখন নিয়োগকারীর সংস্থার মান্যতা পাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ নতুন কর্মের সন্ধান পাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ‘ক্যারিয়ার এক্সপ্লোরার’ বা ‘স্কিল অ্যাসেসমেন্টে’র মতো ফিচার কর্মপ্রার্থীর চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাকে পূর্বের চেয়ে ২৭ গুণ বৃদ্ধি করবে বলে লিঙ্কডইন কর্তৃপক্ষের মন্তব্য।
ভারতে লিঙ্কডইন এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা আশুতোষ গুপ্তা অত্যন্ত জোরের সাথেই এই দাবী করেছেন, “সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে চাকরির বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্বের চেয়ে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ সময়ে ক্যারিয়ার এক্সপ্লোরার এর মতো পরিষেবা মানুষকে নিয়ত নতুন নতুন কাজের সন্ধান এনে দিতে সক্ষম হবে।”