দেশের তরুণরা মেধাবী। কিন্তু তারা উদ্ভাবনের জায়গায় অত্যন্ত দুর্বল। তাই তাদের উদ্ভাবন সম্পদকে সুরক্ষা দেয়ার মাধ্যমে দেশী উদ্ভাবনকে আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ে যাওয়ার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শনিবার সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এবং মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘রোল অব টেলিকম ইন এক্সেলেরেটিং ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
দেশে ৫জি সেবা চালুতে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত বলেও ঘোষণা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৫জির যুগে মিলিয়ন অব ডিভাইসের সংযুক্ত করতে পারবো, বাসার ফ্রিজ, টিভি, দরজা সবকিছুই। সুতরাং টেলকো হচ্ছে হাইওয়ে যার ওপর নির্ভর করে পরের সভ্যতা বিকশিত হবে। এজন্য উদ্ভাবনী দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
সিটিও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি তপন কান্তি সরকার আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন এবং তার ভাষণে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং টেক জায়ান্ট এমাজন এর সহযোগিতায় ‘সিটিও ফোরাম ইনোভেশন সেন্টার’ গঠনের ঘোষণা দিয়ে বলেন ৫জির মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে রূপান্তর করবে। এ রূপান্তরের জন্য আমাদের তরুণদেরও আগ্রহ রয়েছে, ইনোভেশন সেন্টারে আমাজনের সঙ্গে ৪০ জনের পদ্মা, যমুনা, সুরমা, কুশিয়ারা, মেঘনা এই নামের ৫টি টিম কাজ করছে জানিয়ে এবারের বিজয় দিবসে ১৬ই ডিসেম্বর ২০২০ এ ‘ইনোভেশন হ্যাকাথন’ আয়োজনের কথা জানান।
সরকারের এবং মন্ত্রী মহোদয়ের আন্তরিকতা থাকলেও সকল সরকারি দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানে একই চিন্তা বা নীতির প্রতিফলন না দেখা গেলে এগিয়ে যাওয়া কষ্টকর বলে মন্তব্য করেন এমটব সভাপতি এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।
অবশ্য ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সেবায় বিটিআরসির হস্তক্ষেপে ব্যাংক এবং টেলিকম উভয় পক্ষ এখন ‘বিজয়ী’ অবস্থানে আছে বলে মত দিয়েছেন গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান।
অনুষ্ঠানে টেলিকম খাতকে ‘ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ব্যাকবোন’ বলে মন্তব্য করেন ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এমডি ও সিইও আবুল কাশেম মোঃ শিরিন। তিনি বলেন ডিজিটাল ফিন্যান্স এর ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের অনেক সুযোগ রয়েছে।
অপরদিকে অবকাঠামোতে এগিয়ে থাকলেও ইনোভেশনে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে মন্তব্য করে এখন প্রত্যেকটা বাড়ীকে ইন্টারনেটের অধীনে আনতে টেলিকম অপারেটর গুলো কাজ করছে বলে জানান বাংলালিংকের সিইও এরিক অস।
ওয়েবিনারের শুরুতে সিটিও ফোরামের ইসি সদস্য এবং বাংলালিংক এর আই টি ডিরেক্টর সৈয়দ সোহায়েল রেজা সিটিও ফোরাম ইনোভেশন সেন্টারের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন।
সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল এবং পূবালী ব্যাংকের এ এম ডি জনাব মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় আয়োজনের সূচনা বক্তব্য রাখেন টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সিটিও ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মহসিনুল আলম এবং টেলিটক এমডি মো. সাহাব উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে আয়োজনে প্রায় একশত মানুষ যোগদান করেন এবং ফেইসবুক লাইভে সরাসরি সম্প্রচারে প্রায় ২০হাজার মানুষ আলোচনা উপভোগ করেন।