চলতি বছর আইফোন ১২ সিরিজে ভিন্ন মডেলের চারটি নতুন আইফোন লঞ্চ করা হয়েছে। নতুন এই আইফোনে একদিকে যেমন রয়েছে ডিজাইনে বেশ কিছু পরিবর্তন, তেমনই এতে রয়েছে অত্যাধুনিক কিছু নতুন ফিচার এবং পাওয়ারফুল হার্ডওয়্যার। তাই বরাবরের এবারের আইফোনগুলোও বেশ এক্সপেন্সিভ। কিন্তু যদিও মনে করে থাকেন দামি কম্পোনেন্ট ব্যবহারের কারণেই আইফোনের দাম বেশি হয়, তবে আপনি ভুল! জেনে অবাক হবেন যে, আইফোন ১২ ও আইফোন ১২ প্রো এর উৎপাদন খরচের তুলনায় এর বিক্রয়মূল্য প্রায় দ্বিগুন।
এক জাপানিজ বিশ্লেষক সংস্থার তথ্য অনুসারে, আইফোন ১২ এ ব্যবহৃত কম্পোনেন্টের মোট দাম মাত্র ৩৭৩ মার্কিন ডলার, কিন্তু ডিভাইজটি বিক্রি হচ্ছে ৬৯৯ ডলারে। অন্যদিকে আইফোন ১২ প্রো এর প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশগুলোর জন্য অ্যাপলের খরচ হয়েছে ৪০৬ মার্কিন ডলার, কিছু ফোনটি ৯৯৯ ডলারে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও আইফোনের বিক্রয় মূল্যের সব টাকা সরাসরি অ্যাপেলের পকেটে যায় না। এখানে প্রোডাক্টের মার্কেটিং, ট্রান্সপোর্ট, ট্যাক্স ও সার্টিফিকেশন সহ বিভিন্ন আনুষাঙ্গিক খরচ থাকে। তারপর যেটুকু থাকে তা অন্তত অ্যাপলের ব্র্যান্ড ভ্যালু বলে ধরে নিতে পারি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন আইফোনের সবচেয়ে দামি কম্পোনেন্ট হচ্ছে স্যামসাংয়ের ওলেড ডিসপ্লে এবং কোয়ালকমের এক্স৫৫ ৫জি মডেম। স্যামসাং ডিসপ্লের প্রতি ইউনিটের জন্য ৭০ ডলার এবং কোয়ালকমের মডেমের জন্য ৯০ ডলার খরচ করতে হয়েছে অ্যাপলকে। এছাড়া আইফোন ১২ সিরিজে ব্যবহৃত A14 Bionic চিপসেট উৎপাদনে ৪০ ডলার খরচ করেছে অ্যাপল। অপরদিকে আইফোন ১২ ও আইফোন ১২ প্রো এর র্যামের পেছনে ১২.৮ ডলার, এবং প্রতি ইউনিট ফ্ল্যাশ মেমোরির জন্য ১৯.২ ডলার ব্যয় করতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে। তাছাড়া নতুন আইফোনে ব্যবহৃত সনির ক্যামেরা সেন্সরগুলোর প্রতি ইউনিটের দাম ছিল প্রায় ৭.৪ ডলার থেকে ৭.৯ ডলার।
ফোমলহাউট টেকনো সলিউশন বলছে, আইফোন ১২ প্রো এর ২৬.৮% উপাদানই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা হয়। বাকি ২১.৯% উপাদান আসে আমেরিকা থেকে, ১৩.৬% জাপান থেকে, ১১.১% তাইওয়ান থেকে, ৪.৬% চিন থেকে এবং বাকিটা ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশ থেকে।