সম্প্রতি আইটেল বাংলাদেশে লঞ্চ করেছে আইটেল ভিশন ১ প্রো। বলা যেতে পারে কম বাজেটে দুর্দান্ত একটি স্মার্টফোন। যার দাম মাত্র ৭৬৯০ টাকা। তবে এই ফোনটি কেনার আগে আপনার অবশ্যই জানা প্রয়োজন এই ফোনটিতে কি কি ফিচার দেয়া হয়েছে এবং ফোনটির ভালো-মন্দ সকল দিক। এর জন্য আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমেই কথা বলা যাক এই ফোনটির বিল্ড কোয়ালিটি এবং ডিজাইন নিয়ে। এই ফোন টি সম্পূর্ণ প্লাস্টিক মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি। যা দেখতে মনে হবে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার ফোন। বিশেষ করে এর ক্যামেরার মডেল টি আমার ভালো লেগেছে। ফোনটির উপরে থাকছে ৩.৫mm হেডফোন জ্যাক। নিচের দিকে থাকছে মাইক্রোফোন ও মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট এবং ডান দিকে থাকছে ভলিউম আপ-ডাউন ও পাওয়ার বাটন। আর যেটি না বললেই নয় তা হল ফোনটির ব্যাক পার্টি খোলা যাবে। যেখানে দুইটি সিম কার্ড ও একটি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। সাথেই থাকছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। যা মোটামুটি ফাস্ট বলা যেতেই পারে এই বাজেটে।
এবার কথা বলা যাক ফোনটির ডিসপ্লে নিয়ে। ফোনটিতে থাকছে ৬.৫ ইঞ্চি এইচডি প্লাস ওয়াটার ড্রপ নচ ডিসপ্লে। যার এসপেক্ট অনুপাত 19.5:9। আর এই ডিসপ্লে তে কি প্রটেকশন ব্যবহার করা হয়েছে তা জানা যায়নি। সর্বোপরি বাজেট বিবেচনায় আমি বলব এর ডিসপ্লে কোয়ালিটি ভালই আছে।
যাইহোক এবার চলে যাই ভিশন ১ প্রো এর পারফরম্যান্স নিয়ে। এই ফোনটিতে থাকছে ইউনিসক এসসি৯৮৩২ই কোয়াড কোর প্রসেসর। আর জিপিইউ হিসেবে থাকছে মালি t820। যেখানে ভিশন ১ প্লাসে ছিল অকটা কোর প্রসেসর। তাই পারফর্মেন্স এর দিক থেকে ভিশন ১ প্লাস থেকে ভিশন ১ প্রো একটু লো হবেযাতাই যারা গেম লাভার আছেন তারা এই ফোনটি পরিহার করতেই পারেন। এই ফোনটিতে আরো থাকছে ২ জিবি RAM এবং ৩২ জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ। আর অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে এই ফোনটিতে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ১০ গো এডিশন বেজড কাস্টম ইউআই ব্যবহার করা হয়েছে।
এবার কথা বলা যাক এর ক্যামেরা নিয়ে। এই ফোনটির পেছনে থাকছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। যার প্রাইমারি ক্যামেরা 8 মেগাপিক্সেল আর সাথে রয়েছে দুইটি ভিজিএ ক্যামেরা। যার মধ্যে একটি ডেপথ সেন্সর অন্যটি এআই লেন্স। আর সামনের ক্যামেরা হিসেবে থাকছে 5 মেগাপিক্সেল এর সেলফি ক্যামেরা। এক কথায় ভিশন ১ প্রো এর যে ক্যামেরা সেটআপ তার থেকে ভিশন ১ প্লাস এর ক্যামেরা সেটআপ অনেক ভাল হবে।
এবার কথা বলা যাক এই ফোনের সবচেয়ে হাইলাইট ফিচার ব্যাটারি নিয়ে। তো ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৪০০০mAh এর ম্যাসিভ ব্যাটারি। যার নরমাল ব্যবহারে দেড় থেকে দুই দিন ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়ে যাবেন অনায়াসে। তবে বক্স এর সাথে মাত্র ৫ ওয়াটের নরমাল চার্জার দেয়া হয়েছে। যেটি দিয়ে এই ফোনটিকে ফুল চার্জ করতে ৩ ঘন্টা সময় লাগবে। তো এখানে যদি সর্বনিম্ন ১০ ওয়াটের চার্জার দেয়া হতো তাহলে আরো ভালো হতো।
এখন আসি এই ফোনটি কারা কিনবেন। প্রথমত আপনার বাজেট যদি সাত থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে এবং একদমই বেসিক ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে এই ফোনটি কিনতে পারেন। আর যদি বাজেট বাড়াতে পারেন তবে আইটেল ভিশন ১ প্লাস বা রিয়েলমি সি১১ দেখতে পারেন।