‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তা’ সংক্রান্ত পরিবর্তন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ-এর বেকায়দা যেন কাটছেই না। বিশ্বজুড়ে এখনও মানুষ বিভ্রান্ত, কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে। নতুন শর্তাবলীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক ব্যবহারকারী এই অ্যাপ ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী হোয়াটসঅ্যাপের বিপরীতে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে তুরস্কের বিপ, সিগনাল ও টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলো।
বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রিয় ফেসবুক। যতই দিন গেছে তরুণ সমাজের পছন্দের শীর্ষে উঠেছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। তবে এ সাইটটি নিয়ে জটিলতাও কম নয়। হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি, তথ্য ফাঁস, স্ক্রিনশট জটিলতা বারেবারে ভোগান্তিতে ফেলেছে ব্যবহারকারীদের। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ফেসবুক ও এর ম্যাসেঞ্জার রয়েছে নাজুক অবস্থানে।
এরইমধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপও। মূলত নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্ত হওয়ায় এই অ্যাপ নিয়ে স্বস্তিও আছে ব্যবহারকারীদের। কিন্তু ২০১৪ সালে ফেসবুক যখন হোয়াটসঅ্যাপ কিনে নেয়, এরপর থেকেই নিরাপত্তা কতটুকু বজায় থাকবে তা নিয়ে শঙ্কা জানান বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি এই শঙ্কাই জেঁকে বসেছে বিশ্বে।
মে মাসে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন নিয়ম কার্যকরের কথা রয়েছে। এরইমধ্যে তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় অ্যাপের ব্যবহার কমেছে। গেলো এক সপ্তাহে অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ কমে যায়। ভিডিও কল ও ম্যাসেজিং-এর জন্য মানুষ এখন হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে তুরস্কের তৈরি বিপ, মার্কিন সিগনাল ও রুশ টেলিগ্রামের মতো অ্যাপ ব্যবহারের দিকেই ঝুঁকছে।
বিশ্বব্যাপী হোয়াটসঅ্যাপের বিপরীতে বিপ, সিগনাল ও টেলিগ্রামের ডাউনলোডের হার হু হু করে বাড়ছে। ইদানীং বাংলাদেশেও ‘বিপ’ অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা সবচেয়ে বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এক সপ্তাহেই হোয়াটসঅ্যাপের জায়গা দখল করে নিয়েছে তুরস্কের এই অ্যাপটি। তুর্কি গণমাধ্যমে বিষয়টি ফলাও করে প্রচারও হয়েছে। বিবিসির সংবাদ অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে ‘বিপ’ অ্যাপ এক নম্বরে চলে এসেছে। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সিগনাল।
শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই গেলো এক সপ্তাহে সিগনালের গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৮০ লাখে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, বিশ্বজুড়ে টেলিগ্রামের ডাউনলোডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোট ৫০ লাখে।