অ্যাপল ইনকরপোরেশন ফোল্ডেবল স্ক্রিন সংবলিত আইফোনের নতুন একটি মডেলের কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে ফোল্ডেবল আইফোনের স্ক্রিনের প্রটোটাইপ উন্নয়ন করেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। ডিভাইসটি গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছাতে আরো কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। কারণ অ্যাপল আপাতত ডিভাইসটির ডিসপ্লে নিয়ে কাজ করছে। খবর ব্লুমবার্গ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপল প্রাথমিকভাবে যে ফোল্ডেবল স্ক্রিন উন্নয়ন করেছে তা স্যামসাং, হুয়াওয়ে ও মটোরোলা ডিভাইসে যে ধরনের ফোল্ডেরল স্ক্রিন দেখা গেছে অনেকটা সে রকমই। তবে অ্যাপল ‘অদৃশ্য কব্জা’ দিয়ে ফোল্ডেবল স্ক্রিন তৈরির চেষ্টা করছে, যা চারদিকে প্রসারিত করা যাবে।
অ্যাপল ফোল্ডেবল আইফোন বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। অবশ্য নতুন পণ্য বিষয়ে বরাবরই আগাম তথ্য প্রকাশ এড়িয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। হুয়াওয়ে, স্যামসাং ও মটোরোলা এরই মধ্যে একাধিক প্রজন্মের ফোল্ডেবল ফোন উন্মোচন করেছে। তবে এ ফোনগুলোতে অনেক ত্রুটি থাকার অভিযোগ মিলেছে। অ্যাপল কিছুটা বেশি সময় নিয়ে গ্রাহকদের হাতে উন্নত ফোল্ডেবল আইফোন পৌঁছাতে আগ্রহী বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইফোনের চলতি বছরের সংস্করণে খুবই সামান্য হালনাগাদ দেখা যেতে পারে। তবে নতুন আইফোনে এক স্ক্রিনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর দেখা মিলতে পারে। ২০১৯ সালের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালের মধ্যে এমন একটি ফিচার আনবে অ্যাপল, যা চলতি বছর আইফোনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অ্যাপল পণ্য বিশ্লেষকদের ভাষ্যে, চলতি বছর আইফোনে ইন-ডিসপ্ল্লেটাচ আইডি ফিচার কীভাবে আনা যায়, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে অ্যাপল। কয়েক বছর ধরে আইফোন ব্যবসা নিয়ে খারাপ সময় পার করছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছর আইফোন ১২ সিরিজের সবগুলো ডিভাইসে ফাইভজি নেটওয়ার্ক সমর্থন আনায় বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। যে কারণে চলতি বছর আইফোন বিক্রিতে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা।