২০১৪ সালে ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে হোয়াটসঅ্যাপকে কিনেছিল ফেসবুক। বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপকে এক জায়গায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্মার্টফোনে ভিডিও কল করা বা মেসেজ আদান প্রদানে হোয়াটসঅ্যাপ অনেকটা এগিয়েছিল।
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের নিজেদের অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাসে জানিয়েছিল, আপনার গোপনীয়তা রক্ষা করতে তারা দায়বদ্ধ। বিভিন্ন দেশে জনরোষে পরে হোয়াটসঅ্যাপ প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে পিছু হটেছে ফেসবুক সংস্থা।
৮৯৭৭ জনের উপর চালানো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতে, কেবল ১৮ শতাংশ ব্যবহারকারী সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ডেটা ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার চালিয়ে যাচ্ছে। ৩৬ শতাংশ ব্যবহারকারী এই ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে কমিয়ে দিয়েছেন এবং ১৫ শতাংশ ব্যবহারকারী সম্পূর্ণরূপে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার বন্ধ করতে চলেছে।
বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়নেরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারকে জানান হয়, ৮ ফেব্রুয়ারির আগে হোয়াটসঅ্যাপ প্রাইভেট পলিসি না মানলে ডিলিট হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট। পরবর্তীতে সময়সীমা ১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বেশি ভয় তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে। এমন ধারণা চাউর হয়ে যায় যে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের বার্তার ব্যাকআপ রাখে। কিন্তু প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, কে বার্তা পাঠাচ্ছে বা আলাপ করছে, সেই তথ্য তারা সংরক্ষণ করে না। সাধারণত মোবাইল ফোন অপারেটররা এসব তথ্য সংরক্ষণ করে থাকে। হোয়াটসঅ্যাপ মনে করে, ২০০ কোটি ব্যবহারকারীর এত তথ্য সংরক্ষণ গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি, তাই তারা সেটা করে না।
এই বিজ্ঞপ্তি দিতে হোয়াটসঅ্যাপ কিছুটা দেরিই করে ফেলেছে। তার আগেই যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেলে যে পৃথিবীর শীর্ষ ধনী এলন মাস্ক সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পোস্ট দেন, ‘সিগন্যাল ব্যবহার করুন’। সিগন্যাল আরেকটি যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ। তার এই পোস্টের পর সারা বিশ্বে গুগল প্লে স্টোর বা আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে সিগন্যাল ডাউনলোডের হিড়িক পড়ে যায়। পাশাপাশি আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টেলিগ্রাম ডাউনলোডের হারও বেড়ে যায়।
এই পরিস্থিতিতে সিগনাল ব্যবহার করা শুরু করেছে বহু মানুষ। জানুয়ারি মাসের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে সিগনাল ব্যবহার করতে শুরু করেছেন প্রায় ২.৩ মিলিয়ন।