বাজেটের মধ্যে যে ফোনই কিনেন না কেনো সেটার ক্যামেরাও যেনো হয় অস্থির। বর্তমানে বিভিন্ন মোবাইল ফোনে আমরা দেখতে পাই, সেগুলোতে ৪/৫টা করে ক্যামেরা দেয়া থাকে। সেগুলোর রেজুলেশনও হয়ে থাকে ৪৮/৬৪, এমনকি ১০০ মেগাপিক্সেলেরও। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে যেগুলো সত্যিই ভালো ক্যামেরা, সেগুলোর রেজুলেশন আরও কম হয়ে থাকে। হয়তো ১২ অথবা ৮ মেগাপিক্সেলের। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন ১০০ মেগাপিক্সেলের থেকে আবার ১২ মেগাপিক্সেল কিভাবে ভালো হয়। এই উত্তরটা আপনাদেরকে দেয়ার জন্যই আজকের এই লেখাটি।
চলুন নিচে গিয়ে জেনে আসা যাক ক্যামেরার ব্যাপারে কিছু তথ্যঃ⤵
ভালো ক্যামেরার ফোন কি শুধু ছবি তোলার জন্য কেনা হয়। আসলে তা না। ভিডিও কোয়ালিটি ভালো হওয়াটাও বেশ জরুরী।
বর্তমানে বেশিরভাগ নতুন ফোনের ক্যামেরাই হয়ে থাকে অনেক হাই রেজুলেশনের। অনেক ফোনের পিছনে ৪/৫টাও ক্যামেরা থাকে।
আপনি ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন অনেক দামী যে ফোনগুলো রয়েছে, সেগুলোর পিছে কিন্তু মাত্র ২/৩ টি ক্যামেরা। অনেক সময় ২টি’ই দেখা যায় এবং সেগুলোর রেজুলেশনও থাকে কম।
এখন কথা হচ্ছে সেই কম রেজুলেশনের ক্যামেরার ছবি, বেশিটার থেকে ভালো হয় কেনো। কেনোই বা বেশি রেজুলেশনের ক্যামেরার ছবি, কমের’টা থেকে খারাপ আসে। তাহলে কি এই ৪/৫টি ক্যামেরার কোনো মানে নেই।
আপনাদেরকে একটি জিনিস ক্লিয়ার করা যাক। এই যে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাগুলো যে আমরা দেখতে পাই সেগুলো আসলে হচ্ছে ১২ মেগাপিক্সেলের এবং যেগুলো ৬৪, সেগুলো হচ্ছে ১৬ মেগাপিক্সেলের। মেগাপিক্সেল বেড়ে যায় শুধু ফোনের পিক্সেল বাইনিং সিস্টেমের কারনে। যে কারনে ছবির সাইজ বড় করা যাবে, কিন্তু ছবি ক্লিয়ার আসবে না। বিশেষ করে অনেক ফোনের ক্যামেরার সেন্সর দেয়া হয়, অন্য কোনো ব্র্যান্ডের। হতে পাতে সেটা ‘সনি’র, হতে পারে সেটা ‘স্যামসাং’ এর। এক্ষেত্রে ‘সনি’র সেন্সর অনেকটা ‘স্যামসাং’ এর থেকে এগিয়ে রয়েছে। ‘সনি’র সেন্সরের ক্যামেরার ছবি ‘স্যামসাং’ এর লেন্সের থেকে কিছুটা ভালো পাওয়া যাবে।
এরপর আসা যাক ক্যামেরার ‘অ্যাপারচারে’র দিকে। এটির জন্যও ক্যামেরার কোয়ালিটি নির্ভর করে। হতে পারে এটি ‘এফ ১.৪’ অথবা ‘এফ ৩.২’। তো এই অ্যাপারচার যত নিম্নমানের হবে, সেই ফোনের ক্যামেরার কোয়ালিটি তত ভালো হবে। সেই ক্যামেরার ছবিগুলোর ব্রাইট খুব ক্লিয়ার থাকবে তাহলে।
ক্যামেরার কোয়ালিটির ক্ষেত্রে অনেক সময় নির্ভর করে সেই ফোনের প্রসেসর। ফোনের প্রসেসর যদি খারাপ অথবা নিম্নমানের হয় সেক্ষেত্রে সেই ফোনটির ক্যামেরার ‘অ্যাপারচার’ যত নিম্নমানের বা ‘সেন্সর’ যত ভালোই হোক না কেনো, ছবি/ভিডিও ভালো আসবে না। বিশেষ করে ফোনের হাই ডেনসিটির ‘স্ন্যাপড্রাগন’ প্রসেসর, অনেক ভালো ছবি আনতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ‘মিডিয়াটেক’ প্রসেসর কিছুটা পিছিয়ে থাকবে। ‘এ আই’ মোডের ক্যামেরা গুলো ‘স্ন্যাপড্রাগন’ প্রসেসরে ভালো ফলাফল দেয়।
ক্যামেরার ক্ষেত্রে অন্য আরেকটি বিবেচনামূলক দিক হচ্ছে ‘স্টাবিলাইজেশন’। খেয়াল রাখতে হবে আপনার ফোনটিতে কি ধরনের ‘স্টাবিলাইজেশন’ রয়েছে। সেটা হতে পারে ‘ই আই এস’ অথবা ‘ও আই এস’। অনেক ফোনে এই দুটির একটিও থাকেনা।
‘ও আই এসে’র ফোনগুলোর ছবি বেশ ভালোভাবে তোলা যায়। যে কারনে ফোনের ছবিগুলো অনেক স্ট্যাবল পাবেন। যদি এটি আপনার ফোনে না থাকে, তাহলে চেষ্টা করবেন ‘ই আই এস’ যুক্ত ফোন কেনার। সেটার ক্যামেরা স্ট্যাবলও ভালো হবে।
ক্যামেরার লেন্স আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চেষ্টা করবেন ফোন কেনার আগে, যে সেই ফোনটির ক্যামেরার লেন্স কোন ব্র্যান্ড অথবা কোম্পানির সেটা জানার।