চিনাবাদাম এমন একটা স্নেহ জাতীয় খাবার যা বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সকলের জন্য খুব উপকারী আবার এমন কোনো মানুষ খোঁজে পাওয়া যাবে না যারা চিনাবাদাম পছন্দ করেন না। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে বাদামের চাহিদা রয়েছে।
বাদাম ভাজা অবস্থায় যেমন খাওয়া যায় তেমনি বিভিন্ন ডেজার্ট আইটেমের সাথেও ব্যবহার করা হয়।তাই দিন দিন বাদামের চাহিদা বাড়ছে।
ময়মনসিংহের কয়েকটি উপজেলায় চিনাবাদামের চাষ হয়। বিশেষ করে গফরগাঁও উপজেলার নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বাদাম চাষ হয়। বাদাম মূলত রবি ফসল, এটি বেলে মাটি ও বেলে দোয়াশ মাটি এবং দোয়াশ মাটিতে হয়। তাই এসব এলাকায় বাদাম চাষের জন্যে উপযোগি।
বাদাম চাষীদের বাদাম উৎপাদনের জন্য ধান চাষের চেয়ে বেশী কষ্ট করতে হয়। কিন্তু সেই তুলনার তারা খুব অল্প দামে বাদাম বিক্রি করতে হয়। সারা পৃথিবীতে বাদামের চাহিদা থাকলেও সেখানকার বাদাম চাষিদের বাদামের মূল্য বাড়ে না।যেহেতু একদম প্রত্যন্ত গ্রামে বাদামের চাষ করা হয়, তাই রাজধানী ঢাকা কিংবা জেলা শহরগুলোতে চাষীদের বাদামগুলো সরাসরি পৌঁছাতে পারে না। ফলে বাদামের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে চাষীরা বাদাম চাষে অনিহা প্রকাশ করছে।
তাই এই দিকটায় যদি কিছু শিক্ষিত উদ্যোক্তা এগিয়ে আসেন এতে চাষীরা যেমন বাদাম চাষে আগ্রহী হবে তেমনি কিছু শিক্ষিত তরুণ তরুণীদের কর্মসংস্থান তৈরী হবে। এতে দেশের যেমন বেকারত্ব কমবে তেমনি বাদামের চাষিরাও তাদের ন্যায্য মূল্য পাবে।
বাদাম হলো দেশ বিদেশের একটি জনপ্রিয় খাবারের নাম। তাই এই সেক্টরে বেশ কিছু ডেডিকেটেড উদ্যোক্তা যদি কাজ করে তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাদাম রপ্তানী করা সম্ভব।