কিবোর্ড হল যে কোন কম্পিউটারের ইনপুট যন্ত্র গুলোর মধ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, একই সাথে খুবই অদ্ভুত এবং মজাদার। নতুন কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোনকে না থাকলে কিবোর্ড নিয়ে আপনার জল্পনা-কল্পনার কোন শেষ থাকবে না।
তবে কীবোর্ড সম্পর্কে এমন কিছু ফ্যাক্ট রয়েছে যেগুলো স্বভাবতই অনেকের অজানা ,চলুন জেনে নেওয়া যাক কীবোর্ড সম্পর্কে অসাধারণ কিছু ফ্যাক্ট…
১।আপনি যদি কিবোর্ডের যেকোনো এক সারির অক্ষর গুলো দিয়ে সবচেয়ে বড় শব্দটি তৈরি করতে চান তাহলে সেটি হবে “typewriter”।
২।আপনি হয়তো দেখে থাকবেন আপনার কি বোর্ডের F এবং J এই দুটি কি এর নিচে কিছুটা খাচ রয়েছে, কখনও কি মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন এমনটা হয়ে থাকে?
আমরা অনেকেই হয়তো ভাবি নির্মাতাদের ত্রুটির কারণে এমনটি হয়ে থাকে। তবে আদৌ কিন্তু তা নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে F এবং J এ দুইটি কি টাইপ করতে গিয়ে ফিঙ্গার স্লিপ করে । যার দরুন পরবর্তীতে এ দুইটি কি এর নিচের দিকে একটি করে খাচ রাখা হয় যেন আঙ্গুল ফসকে না যায় ।
৩।মাউস এর মাধ্যমে কোন কমান্ড দেওয়ার চেয়ে কি বোর্ড ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের কমান্ড দেওয়া সবচেয়ে দ্রুত কার্যকর। যদিও তা এতটাই সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম যে তা বিবেচনার মধ্যে আনা হয় না। তবে একটা সময় ছিল যখন কম্পিউটার গুলো কচ্ছপের গতিতে কাজ করতো। ঠিক সেই সময় এই পার্থক্যটা বুঝে যেত।
৪। QWERTY কিবোর্ড লেআউট, অর্থ বর্তমান সময়ে আমরা যে কিবোর্ড লেআউট তো দেখে থাকি, এটির ব্যবহার শুরু হয়েছে প্রায় 100 বছর পূর্বে। কেবলমাত্র মজার ছলে এই লেআউট তৈরি করা হয়েছিল । তবে পরবর্তীতে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম এবং কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এই লেয়াউটকে কিবোর্ড এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করে । ধারণা করা হয় QWERTY লে আউটের জন্য টাইপিং স্পিড পূর্বের তুলনায় অর্থাৎ ABCD লে আউট এর তুলনায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ।
৫।প্রিয় পাঠক , আপনার কম্পিউটারের কিবোর্ডে আপনি প্রতি মিনিটে কত কোন শব্দ টাইপ করতে পারবেন ? জেনে অবাক হবেন, কম্পিউটারের সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন টাইপারের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে একটি স্থান রয়েছে । ১৯৩৯ সালে সর্ব প্রথম বারের মত স্থানটি দখল করে নেন Barbara Blackburn । যার রেকর্ড ভাঙতে পারেনি এ জামান কেও !