চীনভিত্তিক বিভিন্ন ডাটা সেন্টারে চীনা গ্রাহকদের উপাত্ত সংরক্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে অ্যাপল। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রথম এ অভিযোগ উঠে আসে। অ্যাপল বলছে, তারা চীনের আইন অনুযায়ী তাদের নাগরিকদের তথ্য ওই দেশের ডাটা সেন্টারগুলোয় রাখছে। খবর বিবিসি।
চীনে অ্যাপলের গ্রাহকদের উপাত্ত সংরক্ষণের ফলে তা বেহাত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের পরিচালক অধ্যাপক মাইকেল পোজনার বলেন, চীন সরকারের সমালোচক হিসেবে অ্যাপলের পণ্য ব্যবহারে আমি ভয়ের মধ্যে থাকি। অ্যাপলের পণ্য ব্যবহার করে আমি ক্লাউডে কোনো ডাটা রাখার ব্যাপারে সাবধান থাকি।
চীনে ডাটা মজুদ রেখে অ্যাপল আসলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির হাতেই চাবি তুলে দিচ্ছে বলে মনে করেন পোজনার। অ্যাপলের যুক্তি, যে দেশে ব্যবসা হচ্ছে সে দেশের আইনকানুন মেনেই কাজ করছে তারা।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে চায়না অ্যাপ স্টোর থেকে প্রায় ৪৬ হাজার অ্যাপস সরিয়ে ফেলেছিল অ্যাপল। চীন সরকার কর্তৃক প্রাপ্ত নির্দেশনার পরই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। সরানো বেশির ভাগ অ্যাপই ছিল বিভিন্ন গেমসের, যেগুলো সরকার থেকে অফিশিয়াল লাইসেন্স নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেনি।
২০১৯ সালে অন্য প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল চীনের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক নিয়ন্ত্রিত সার্চ ইঞ্জিন চালুতে অস্বীকৃতি জানায়। চীনের বিশাল বাজারকে সামনে রেখে সেখানে প্রবেশ করতে চাইলেও কর্মীদের সমালোচনার মুখে ওই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে গুগল।