ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার আগামী বুধবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নিজস্ব ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন।
তবে আরও কিছুদিন আগেই ভবন নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসির নিজস্ব জমিতে ১২ তলার ওই টেলিযোগাযোগ ভবন নির্মাণ হচ্ছে।
মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গত ১০ জানুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করে। এরপর থেকেই একটু একটু করে পাইলিংয়ের কাজ এগিয়ে যেতে থাকে।
জানা গেছে, ২১৯ কোটি টাকার ভবনটিতে ১২ তলা হলেও এর ফাউন্ডেশন হবে ১৫ তলার।
অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সংম্বলিত ভবনটিতে তিনটি বেজমেন্ট থাকবে। এর নির্মাণ কাজ দুই বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।
এর আগে বিটিআরসি ২০১৮ সালের আগস্টে ভবন নির্মাণে টেন্ডার ডাকে। একই বছরের ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা একনেকে অনুমোদন দেন।
বিটিআরসির কার্যক্রমের জন্য ভবনটির আটটি ফ্লোর ব্যবহার করা হবে। ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত চারটি ফ্লোর ভাড়া দেওয়া হবে। যেটা থেকে বিটিআরসি একটা বড় অঙ্কের অর্থ আয় করতে পারবে বলে প্রকল্পে বলা হয়।
প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা রয়েছে, বর্তমানে বছরে কমিশনের অফিস ভবন ভাড়া বাবদ ১০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণ হলে তা নিজেদের ব্যবহার এবং ভাড়া দিয়ে বছরে অন্তত ২০ কোটি টাকা কমিশন তথা সরকার সাশ্রয় করতে পারবে।
বিটিআরসির তহবিল হতে ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৩০০ টাকা ব্যয়ে স্থাপত্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভবনের স্থাপত্য নকশা প্রণয়ন এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে স্ট্রাকচারাল ডিজাইনসহ অন্যান্য কার্যক্রম করা হয়েছে। প্রকল্পটি টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় বিটিআরসি ও গণপূর্ত অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে।
২০০৮ সালের ১৫ জুলাই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বিটিআরসিকে জমি বরাদ্দ দেয়।