ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দশেরে জনগণরে জন্য টেলিকম সেবার সর্ব্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে হবে। এই ব্যাপারে আপোষরে কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে ‘একদেশ এক রেট‘ নীতি অনুসরণ করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের জন্য ইন্টারনেটের পৃথক রেট গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ একে অপরের প্রতি দোষারোপ না করে সমন্বয়ের মাধ্যমে যে কোন সমস্যার সমাধানে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।সমস্যাগুলো আছে সেগুলো সমাধান করবো, সরকারের পক্ষ থেকে কোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেব না, তাদের সাথে কথা বর্তা বলেই গাইড লাইন চূড়ান্ত করছি। সমস্যা কোথায় এবং এর সমাধান কি হবে এসব নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল লা ভিঞ্চিতে টেলিকম খাতের প্রতিবেদকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) এর আয়োজনে ‘ডিজিটাল সেবায় ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সরকারের সর্বশেষ নির্বাচনী ইশতেহারে গ্রাম হবে শহর হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “গ্রাম শহর হওয়ার মানে হচ্ছে ডিজিটাল গ্রাম হবে, শহরের সুযোগ সুবিধা গ্রামে হবে, যে ইন্টারনেট স্পিড শহরে হবে তা গ্রামেরও করতে হবে। শহরের বাইরে কেন বাড়তি পয়সা দিতে হবে, সেটা গ্রহণযোগ্য না। ট্রান্সমিশন কোম্পানি এনটিটিএন দের জন্য খরচ বাড়ছে এই খরচ যেন গ্রাহকের উপর না পারে, সেটা সরকার দেবে না কি হবে তা ঠিক করতে হবে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমানে আমরা এক হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করি ।২০০৮ সালে দেশে ৮ জিবিপিএস ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করা হতো।
সারা দেশে ইন্টারনেট একই মূল্যে করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এক দেশ এক রেইট করতে হবে, সবাই যেন নিশ্চিত করতে পারি। কোন জায়গায় ভর্তুকি দিতে হলে দেব।ছেলেমেয়েরা ভর্তুকি পেয়ে যদি এগিয়ে যায় তাহলে সে জায়গায় অবশ্যই আমরা যাবো।”
“ইন্টারনেট সেবায় শুধু অপারেটরদের নয়, এনটিটিএনদেরও ধরতে হবে। যেটুকু অপারেটর ও এনটিটিএনদের ক্ষমতায় আছে তা জনগনকে সর্বাচ্চ মান নিশ্চিত করতে হবে, কোন রকমের অজুহাত দেওয়া যাবে না।”
২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে যে কোন ভাবেই ৫জিতে যাওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিতে পিছিয়ে যাওয়ার রিক্স আমরা নিতে পারি না। যে বিজনেস প্ল্যান নিয়ে আপনার এগিয়েছেন সে বিজনেস প্ল্যান আগামী ১০ বছর থাকবে না। ৫জি অনেক পরিবর্তন আনবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আসবে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিম, গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান, অ্যামটবের সাবেক সেক্রেটারি টিআইএম নুরুল কবির, ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।