বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম কিউকমের পেমেন্ট গেটওয়ে বা পরিশোধ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (পিএসও) ফস্টার পেমেন্ট এর সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা (বিএফআইইউ) এর এক কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে সকল ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত মাসের ৯ তারিখ প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত করা হয়। মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইভ্যালি এবং ই-অরঞ্জের পরেই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম কিউকম গত ২২ সেপ্টেম্বর তাদের অফিস সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।
প্রতারণার দায়ে গত ৪ অক্টোবর কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। অস্বাভাবিক ছাড়ে পণ্য বিক্রির নামে অর্থ সংগ্রহসহ বিভিন্ন অভিযোগে এর আগে গত জুনে যে ১০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকগুলো কার্ড লেনদেন স্থগিত করে তার মধ্যে কিউকম অন্যতম।
গ্রেপ্তারের পর রিপন মিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি গ্রাহকদের ২৫০ কোটি টাকা সরিয়েছেন। এছাড়া ফস্টারের কাছে ৩৯৭ কোটি টাকা আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে বা ই-ওয়ালেট সেবা দিতে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস রেগুলেশনস-২০১৪-এর আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। এখন পর্যন্ত ৯টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর বা ই-পেমেন্ট গেটওয়ে সেবার জন্য লাইসেন্স পেয়েছে পাঁচটি। আর চারটি প্রতিষ্ঠানকে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার বা ই-ওয়ালেট সেবার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর হিসেবে লাইসেন্স পেয়েছে পোর্টোনিক্স লিমিটেড।