বন্ধ হয়ে যাওয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের ২০ গ্রাহক ৪০ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন। দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও পাওনা টাকা ফেরত দেয়া হবে বলে জানান বাণিজ্য সচিব।
অগ্রিম টাকা নিয়ে কম দামে বিভিন্ন পণ্য দেয়ার অফার দেয় কিউকম। কিন্তু না দিতে পারায় বন্ধ করে দেয়া হয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম, আটকে যায় কয়েক হাজার গ্রাহকের টাকা।
পরে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে পেমেন্ট গেটওয়েতে কিউকমের ৩৯৭ কোটি টাকা আটকে আছে। সেখান থেকে টাকা ছাড় করে ক্রেতাদের ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে কিউকমের ৬ হাজার ৭২১ গ্রাহক চিহ্নিত হয়েছে, যাদের পাওনা ৫৯ কোটি টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘ ২০ জন গ্রাহক ৪০ লাখ ২ হাজার ৪১৩ টাকা ফেরত পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ভোক্তাদের অর্থ ফেরতের কার্যক্রম উদ্বোধন করলাম।’
এই অর্থ পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে আটকে ছিল। কিউকমের মতই নানা অভিযোগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধে এই পেমেন্ট গেটওয়ের অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ইভ্যালি, কিউকমসহ অনেকগুলো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ অগ্রিম হিসেবে নিয়েও পণ্য না দেওয়ার অভিযোগ করেন গ্রাহকরা।
এরপর একে একে অনেকগুলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী। এতে কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে যায়, গ্রাহকরাও আর টাকা পাননি।
এসব ক্রয়াদেশের পণ্যগুলো গ্রাহকের কাছে সরবরাহ না করায় এই টাকা গ্রাহককে ফেরত দেওয়ার সুপারিশ করে কিউকম। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই অর্থ ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়।
ই-ক্যাব এর সভাপতি শমী কায়সার বলেন,যারা অন্যায় করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া, টাকা ফেরত পাওয়ার ই-কমার্স ব্যবসার ওপর গ্রাহকদের আস্থা ফিরবে বলে মনে করে ই-ক্যাব।
এর আগে প্রতারণার অভিযোগে ২০২১ সালে ইভ্যালি, কিউকমসহ বেশকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর অনেক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।