অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া যেন চলেই না! তাছাড়া করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস থেকে শুরু করে সব কাজই এখন প্রায় নেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় অন করলেই মোবাইল ডাটা সব শেষ হয়ে গেলে তা বিপত্তির কথা বটে! তাহলে এবার জেনে নিন ডাটা বাঁচানোর কিছু সহজ উপায়।
১. অটো আপডেট বন্ধ রাখা:
আপনার স্মার্টফোনটির গুগল প্লে স্টোর থেকে সব ধরনের অ্যাপলিকেশন সফটওয়ার বা অ্যাপস অটো আপডেট বন্ধ রাখুন। কিংবা কেবল ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে অ্যাপস আপডেট করার অপশনটি এনাবল করে রাখুন।
এভাবে মোবাইলের অ্যাপস আপডেট নিয়ন্ত্রণ করে বা তা ওয়াই-ফাইয়ে সুনির্দিষ্ট করে ডাটা বাঁচানো সম্ভব হবে। এটি করতে হলে প্রথমে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সেটিং অপশনে যান এবং অটো আপডেট অ্যাপস বাছাই করুন। এরপর ডন্ট অটো আপডেট অ্যাপস বা ওভার ওয়াই-ফাই অনলি সিলেক্ট করে ডাটা সেভার এনাবল করতে হবে।
২. ডাটা সেভার ফিচার চালু রাখুন:
অ্যান্ড্রয়েডে থাকা ডাটা সেভার ফিচারটি এনাবল করলে স্লিপ মোডে চলে যাবে ফোনটি। এতে কোনো অ্যাপ ও ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা ট্রান্সফার বন্ধ থাকবে। যা ডাটা বাঁচানোর পাশাপাশি ব্যাটারিও বাঁচিয়ে দিবে।
এ ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে সেটিংসে গিয়ে নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটে ক্লিক করতে হবে। পরে ডাটা সেভার ওপেন করে টগল পাবেন। এ ছাড়া নির্দিষ্ট কোনো অ্যাপে ডাটা সেভার চাইলে তা আলাদাভাবে সিলেক্ট করতে হবে। এতে স্মার্টফোনটির ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা ব্যবহার বন্ধ হওয়ায় মোবাইল ডাটা বেঁচে যাবে।
৩. অটো সিঙ্ক ডিসেবল করতে পারেন:
আপনার ফোনটির অটো সিঙ্ক ডিসেবল করতে পারেন। এতে সব অ্যাপ সিঙ্ক বন্ধ থাকবে এবং তাতে ব্যাটারি অনেকটাই বাঁচবে।
এটি করতে হলে ফোনের সেটিংসে গিয়ে একাউন্টস ওপেন করুন। স্ক্রল ডাউন করে অটোমেটিক সিঙ্ক ডাটা ডিসেবল করতে হবে। এ ছাড়া নোটিফিকেশন বারের কুইক সেটিংস টগল থেকে এটি বন্ধ করা যায়। পরে ওয়াই-ফাই সংযোগে গেলে সিঙ্ক এনাবল করে নিলেই হবে। এভাবে ফোনের অনেক ডাটা বাঁচানো সম্ভব।
৪. ইউটিউবের ডাটা সেভিং:
ইউটিউব দেখার সময় বিপুল পরিমাণ ডাটা খরচ হয়ে থাকে। এই অ্যাপে থাকা বিশেষ ফিচার ব্যবহার করে ডাটা বাঁচানো সম্ভব।
এ ক্ষেত্রে ইউটিউব অ্যাপের সেটিংসে গিয়ে জেনারেল ট্যাব ওপেন করুন এবং লিমিট মোবাইল ডাটা সিলেক্ট করুন। এর ফলে ডাটা ব্যবহারের সময় অপচয় বন্ধ হবে। আবার ওয়াই-ফাই সংযোগে গেলে ফিচার বন্ধ করতে ইউটিউব স্ট্রিম (Stream) করলেই চলবে।