ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ভিপিএন পরিষেবার সঙ্গে সম্পর্কিত ৩৬ হাজারের বেশি ইউআরএল বন্ধে গুগলকে বাধ্য করেছে রাশিয়া। সম্প্রতি সার্ফশার্কের গবেষণা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর টেকরাডার।
আগ্রাসনের প্রথম সপ্তাহে ভিপিএন সম্পর্কিত ইউআরএল বন্ধে আবেদনের মাত্রা ৭ শতাংশ থেকে কিছুটা বেশি ছিল। ইউআরএল বন্ধের আবেদনগুলো রাশিয়ার ফেডারেল আইনের ২৭৬-এফজেড ধারার অধীনে এসেছে। যেটি সাধারণত ভিপিএন আইন হিসেবে পরিচিত। তবে ইউক্রেনে আক্রমণের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। বিশেষ করে যখন রাশিয়ার সরকার ফেসবুক, টুইটারসহ পশ্চিমা সোশ্যাল মিডিয়াগুলো বন্ধ করে দেয়া শুরু করে। সে সময় ইউআরএল বন্ধের আবেদন বেড়ে ৫৫ শতাংশে উঠে আসে।
দেশটির অধিবাসীরা যেন ভিপিএন পরিষেবা না ব্যবহার করতে এবং ইউআরএলে প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য বিবিসি, ডয়েচে ভেল, ইউক্রেইনস্কা প্রাভাডার মতো শতাধিক বৈশ্বিক গণমাধ্যমে ডোমেইন বন্ধ করে দেয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরুর পর থেকে ইউক্রেইনস্কা প্রাভাডা ইউক্রেনসংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে আসছিল। ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর পরই পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় পণ্য আমদানি-রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
পাশাপাশি দেশটির অধিবাসীদের প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। এর পর থেকেই রাশিয়া অধিবাসীদের মধ্যে ভিপিএনের ব্যবহার বেড়েছে। সার্ফশার্কের অভ্যন্তরীণ নথির তথ্যানুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় আক্রমণ-পরবর্তী সময়ে ভিপিএন পরিষেবা প্রতিষ্ঠানের বিক্রি ৩ হাজার শতাংশ বেড়েছে।
সার্ফশার্কের পাবলিক রিলেশন বিভাগের প্রধান গ্যাব্রিয়েল রেকাইটি বলেন, ভিপিএন ডাউনলোডের হার বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি রাশিয়ার জনগণের সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও নজরদারি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টাকেই নির্দেশ করে। রাশিয়ায় প্রতিদিন বন্ধ করে দেয়া ওয়েবসাইটের সংখ্যা বাড়ছে। সে কারণে ভিপিএন পরিষেবা রাশিয়ানদের নিরপেক্ষ তথ্য সন্ধান ও নজরবিহীন অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।