দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় সমগ্র বাংলাদেশের ৩২৮টি পৌরসভায় ডিজিটাল সার্ভিস বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ন্যাশনাল মিউনিসিপ্যাল ডিলিটাল সার্ভিস প্রকেক্ট বাস্তবায়ন বিষয়ক এক সভা আজ তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) কান্ট্রি ডিরেক্টর. ইয়ং-আহ দোহ, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কোরিয়ান বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
সভায় ইতিপূর্বে একটি সিটি করপোরেশন ও ৯টি পৌরসভায় পাইলটিংকৃত ৫টি সার্ভিসের সঙ্ড়ে হোল্ডিং ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট ও পাবলিক কমপ্লেইন এ দুইটি সার্ভিসসহ মোট ৭টি সার্ভিস দেশের বিদ্যমান ৩২৮টি পৌরসভায় বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এছাড়াও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্পের আওতায় নতুন আরো ৫টি সার্ভিস যোগ করার জন্য আইসিটি প্রতিমন্ত্রী কোইকার প্রতি অনুরোধ জানান। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য অনুদান হিসেবে কোইকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
উল্লেখ্য, কারিগরি সহায়তা প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়া সরকার অনুমোদন করেছে। অনুদানকৃত অর্থের পরিমাণ ৮.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। প্রকল্পটি এটুআই, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এবং আইসিটি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। ইতিপূর্বে পাইলটিংকৃত ৫টি সার্ভিস সফলভাবে বাস্তবায়িত হওয়ায় কোইকা এই অর্থ প্রদানে এগিয়ে এসেছে।
এছাড়া পরে বর্তমান সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে অংশ হিসেবে জাপানে অর্থায়নে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের বিষয়ে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকার চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া, আইসিটি বিভাগ ও এর অধীনস্থ সংস্থা ও জাইকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।