ক্যানন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আগেই- আর নয় ‘ফ্ল্যাগশিপ’ ডিএসএলআর। এবার সম্ভবত একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নিকনও।
‘ডিজিটাল সিংগেল-লেন্স রিফ্লেক্স (ডিএসএলআর)’ লাইনআপের ডিভাইস তৈরি বন্ধ করতে পারে দুই শীর্ষস্থানীয় ক্যামেরা নির্মাতা নিকন ও ক্যানন। নিজেদের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে চলা প্রতিদ্বন্দ্বীতাকে পেছনে ফেলে এবার তুলনামূলক ছোট আকারের ‘মিররলেস’ ক্যামেরার প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ঝুঁকছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
এসএলআর ক্যামেরা নিয়ে এমন সম্ভাবনার বিষয়টি উঠে এসেছে জাপান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘নিক্কেই এশিয়া’র প্রতিবেদনে।
নিকন অবশ্য এই প্রতিবেদনকে ‘জল্পনা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে খবরটি প্রত্যাখ্যান করেছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি জোর দিয়ে বলছে, ডিএসএলআর ক্যামেরার উৎপাদন, বিক্রি এবং সেবা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
এই প্রতিক্রিয়ায় ভবিষ্যতে এসএলআর ক্যামেরা উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেনি নিকন। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ ডিএসএলআর ক্যামেরা ‘নিকন ডি৬’ বাজারে এসেছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
নিজেদের এন্ট্রি লেভেল ডিএসএলআর ক্যামেরা ‘ডি৩৫০০’ ও ‘ডি৫৬০০’-এর উৎপাদন জুন মাসে বন্ধ করেছে নিকন।
‘নিক্কেই’র প্রতিবেদন ইঙ্গিত দিচ্ছে, ‘মিররলেস’ ক্যামেরা তৈরিতে বেশি নজর দিচ্ছে নিকন, কারণ এগুলো তুলনামূলক ছোট আকারের ও ওজনে হালকা।
শুরুর দিকের মিররলেস ক্যামেরায় ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ছবির মান বা লেন্স বাছাইয়ের তেমন সুবিধা ছিল না। ডিএসএলআর ক্যামেরার অপটিকাল ভিউফাইন্ডারে দেখানো ছবি থেকেও বেশ পিছিয়ে ছিল মিররলেস ক্যামেরার ইলেক্ট্রনিক ভিউফাইন্ডার।
তুলনামূলক নতুন মিররলেস ক্যামেরায় এসব ত্রুটি নিয়ে ব্যাপক কাজ হয়েছে। পাশাপাশি, এগুলোও আগের মতো ছোট আকারের এবং হালকা ওজনের।
ডিএসএলআর-এর চেয়েও এখন ভালো মানের ভিডিও সুবিধা আছে মিররলেস ক্যামেরায়। এটি সেই সব ব্যবহারকারীর জন্য উপযোগী, যারা নিজেদের ক্যামেরায় ‘মাল্টিটাস্ক’ করতে চান।
ক্যামেরার বাজারে নিকনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্যাননও নিজেদের ডিএসএলআর ক্যামেরা উৎপাদন বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছে। ২০২১ সালের শেষে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের সর্বশেষ পেশাদার ডিএসএলআর মডেল হবে ‘ইওস-১ডি এক্স মার্ক ৩’।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বী নিকনের মতোই মিররলেস লাইনআপের দিকে ঝুঁকছে ক্যানন। তবে, আপাতত এন্ট্রি লেভেলের ডিএসএলআর ক্যামেরার উৎপাদন চালিয়ে যাবে ক্যামেরা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।