অনেক দিন পর টেক দুনিয়ায় নতুন কোনো ফোন নিয়ে আলোচনা চলছে। তাও আবার পুরোনো কোনো প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির ফোন নয়। একেবারে নতুন কোম্পানির প্রথম ফোন নিয়েই মেতে আছে নেট দুনিয়া।
‘নাথিং ফোন ১’ পোশাকি নাম এটাই। দেখতে খুব সাধাসিধে হলেও ব্যাক বা পেছনের দিকটা দৃষ্টি কাড়বে সবার। অর্থাৎ প্রথম ফোনেই বাজিমাত। নাথিং ফোন যতটা সম্ভব সাধারণ রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই এই ফোনে ‘বাড়তি’ কোনো চেষ্টা দেখা যায়নি।
অ্যান্ড্রয়েড ঘরানার এই ফোনে অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ১২। নিজস্ব কোনো ই-মেইল কিংবা ব্রাউজার দেয়া হয়নি। বিল্ট-ইন নতুন কোনো অ্যাপ যুক্ত করা হয়নি। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েডে যেসব অ্যাপ সাধারণভাবে থাকে সেটা নিয়েই বাজারে এসেছে নাথিং ফোন ১।
মজার ব্যাপার হলো, এই ফোনের পেছনের দিকটা অনেকটা উম্মুক্ত মনে হবে। পেছনে ব্যবহৃত স্ক্রর মাথাগুলো দেখা যায়। আর সুন্দর করে জড়িয়ে আছে এলইডি লাইটের নকশা। ফোন এলে কিংবা কোনো নোটিফিকেশন আসলে সেসব নকশা করা বাতি জ্বলে ওঠে। বলা যায়, এই অংশটাই নাথিং ফোনের সিগনেচার। নাথিং ফোনের ভাষায় এটা ‘গ্লিফ’। যদিও কেউ কেউ মনে করছেন, এই বাতির ডিজাইন বা নকশা হয়তো কারো কাছে বিরক্তির কারণ হতে পারে।
দামের দিক থেকে এটাকে বাজেটেড ফোনই ধরা হয়। ৩৯৯ পাউন্ড বা ৪৮০ ডলার। আইফোন কিংবা স্যামসাং ফ্ল্যাগশিপ ফোনের তুলনায় বাজেট ফোনই বলা চলে। যদিও এসব ফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতেও আসেনি নাথিং ফোন। তাই বলা যায় মিড রেঞ্জের এই ফোন নিজস্ব একটা ধারা সৃষ্টি করতেই বাজারে এসেছে।
লন্ডনভিত্তিক এই কোম্পানির প্রথম ফোন ১৬ জুলাই থেকে লন্ডনে বিক্রি শুরু হয়েছে। বিশাল ডিসপ্লে নিয়ে এসেছে নাথিং ফোন। ৬.৫৫ ইঞ্চির ডিসপ্লে-তে ভিডিও দেখা যাবে ২৪০০*১০৮০ রেজুলেশনে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগনের ৭৭৮জি প্রসেসর। ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাও যেকোনো উচ্চমানের মোবাইল ফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ছবি তুলতে সক্ষম।
কোম্পানির ভাষ্য অনুসারে, তারা পরিবেশবান্ধব একটি প্রযুক্তি মানুষকে উপহার দিতে চায়। তাই নাম থেকে শুরু করে ফোনের প্রতিটা পরতে পরতে জড়িয়ে আছে সাধারণ্য। এখন দেখার বিষয় ভোক্তা বা গ্রাহক এই ফোনকে কিভাবে গ্রহণ করে।