গেমের বাজারে চীনা প্রযুক্তি সংস্থা টেনসেন্ট হোল্ডিংস শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ১৮০টি ক্ষুদ্র ও কৌশলী বিনিয়োগ করেছে। এ প্রতিযোগিতায় সনি ও মাইক্রোসফটের মতো টেক জায়ান্টদের পেছনে ফেলে গেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ডাচ গবেষণা সংস্থা নিউজুর তথ্য বলছে, গত বছর গেমিং থেকে টেনেসেন্টের আয় হয়েছে ৩ হাজার ২২০ কোটি ডলার। জাপানভিত্তিক সনির আয় হয়েছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার এবং ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোভিত্তিক অ্যাপলের আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার।
নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টেনসেন্টের পোর্টফোলিওতে রয়েছে বেশ কয়েকটি মার্কিন, ইউরোপীয় ও দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান। এর জের ধরেই সংস্থাটির আয় অব্যাহতভাবে ঊর্ধ্বমুখী।
এ বিষয়ে নিকো পার্টনারসের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ড্যানিয়েল আহমেদ জানান, এ সপ্তাহে স্টিম টপ সেলার্স চার্টে প্রভাব ফেলেছে টেনসেন্টের স্টুডিওগুলো।
এ তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল এলডেন রিং। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাপানি অ্যাকশন রোল-প্লেয়িং গেমটি মুক্তি পায়। এক মাসে বিশ্বজুড়ে তার ১ কোটি ৩৪ লাখ কপি বিক্রি হয়। গত বছর এলডেন রিংয়ের ডেভেলপার ফ্রমসফটওয়্যারের প্যারেন্ট কোম্পানি কাডোকাওয়ার আংশিক ব্যবসা কিনে নেয় টেনসেন্ট।
এছাড়া চীনের বাইরেও অন্যান্য দেশের প্রযুক্তি সংস্থায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে টেনসেন্ট। বেইজিংভিত্তিক আইটিজুযির তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৪০ শতাংশ টেনসেন্টের বিনিয়োগ চুক্তি ছিল চীনের বাইরে। সে হিসাবে গত বছরের সামগ্রিক বিনিয়োগের তুলনায় এ বছরের প্রথম ছয় মাসেই টেনেসেন্টর শেয়ার ১৮ শতাংশ বেড়েছে।
টেনসেন্টের পোর্টফোলিওর মধ্যে রয়েছে রায়ট গেমস, সুপারসেল, এপিক গেমস ও ক্রাফটন। এ বিষয়ে ওয়েক আপ ইন্টার্যাক্টিভের প্রেসিডেন্ট তাকাউকি কিকুচি জানান, এ অংশীদারত্বের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অনেক কম সময় লাগবে। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেয় টেনসেন্ট।