দেশের প্রথম ডিজিটাল গ্রাম কক্সবাজারের তুলাতুলী। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী দুর্গম এই অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে সবাই পাচ্ছেন ডিজিটাল সুবিধা। কৃষিপণ্য বিক্রি করে একদিকে যেমন লাভবান হচ্ছেন তারা, অন্যদিকে বেঁচে যাচ্ছে সময়।
উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী গ্রাম তুলাতলী। ডিজিটাল সুবিধায় বদলে গেছে জনজীবন।
এখানে স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টার। এই সেন্টারের মাধ্যমে প্রান্তিক চাষিদের কৃষিপণ্য বেচাবিক্রি, অনলাইনে কৃষিবিষয়ক তথ্য প্রদানসহ পণ্যের বাজার দর ও বাজারজাতে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় জানান, “ডিজিটাল সেন্টার হওয়ার কারণে কৃষকরা এখানে এসে পণ্যগুলো বিক্রি করে ন্যায্যমূল্যে টাকা পাচ্ছেন।”
তথ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন থেকে শুরু করে জমির খতিয়ান, ক্ষেত-খামারের পরিচর্যা, রোগবালাই ও পোকামাকড় দমনসহ দেওয়া হয় নানা সেবা। এই কেন্দ্র স্থাপনে জমি দেয়াসহ সহযোগিতা করেছেন গ্রামের মানুষ।
তুলাতুলী তথ্যসেবা কেন্দ্রের জমিদাতা নুরুল আলম বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে ঘরে বসে সবকিছু করার, সেজন্য এখানে জায়গা দিয়েছি আমি।
উদ্যোক্তা নুরুল কবির বলেন, “এখানে মূলত দুই ধরনের সেবা দেওয়া হয়। একটা হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক সেবা, অন্যটি কৃষিভিত্তিক সেবা। সেই সেবাগুলো আমরা নিজেরাই দিয়ে থাকি।”
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানান, তথ্য-প্রযুক্তিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে দেশের ৮ হাজার ইউনিয়নে ডিজিটাল ইনফরমেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, “আবহাওয়ার পূর্বাভাস কি অথবা কোন একটা ফসলে যদি রোগ হয় তাহলে সেটার সমাধান কি হবে এই ডিজিটাল সেন্টারে তার পরামর্শ পাওয়া যাবে।”
এরই ধারাবাহিকতায় তুলাতুলীকে ডিজিটাল গ্রাম ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।