নাসার সাবেক প্রধান জিম ব্রিডেনস্টাইন মার্কিন মহাকাশ নীতির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, অন্তত এক দশক ধরে মহাকাশে রাশিয়া-মার্কিন সম্পর্ক হতাশাজনক। তিনি এবং নাসার আরেক সাবেক প্রধান চার্লস বোল্ডেন এক লাইভ অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন। জিম এ সময় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) রাশিয়ার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে ‘টেনশনের সম্পর্ক’ বলে বর্ণনা করেন। স্পেস ডটকমের রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। খবর এএফপি।
ব্রিডেনস্টাইন ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি মেয়াদে নাসার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি বলব রাশিয়ার প্রতি আমাদের দেশের যে নীতি, মহাকাশযান বিবেচনায় তা একটি ‘সিজোফ্রেনিক’ নীতি। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে লাইভ অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
বর্তমান নাসার কর্মকর্তাদের মতে, আইএসএস নিয়ে রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মার্কিন অবস্থান একই রয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আক্রমণের কারণে দুদেশের মহাকাশ অংশীদারিত্ব দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে রাশিয়া সম্প্রতি কিছু উস্কানিমূলক স্পেসফ্লাইট পদক্ষেপ নিয়েছে যা আইএসএসকে একাধিকবার হুমকির মুখে ফেলেছে।
ব্রাইডেনস্টাইন এবং বোল্ডেন উভয়েই দাবি করেন, নাসায় তারা যখন কাজ করতেন, তখনও রাশিয়ার সাথে তাদের গভীর সমস্যা ছিল। তারা চাঁদ অনুসন্ধানের চলমান আর্টেমিস প্রোগ্রামে নাসার আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাশিয়ার ওপর অতি নির্ভর হয়ে পড়ার জন্য নাসার সমালোচনা করে তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেস আইএসএস সম্পর্কে একই ভুল করেছিল। কারণ যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের প্রতিস্থাপনে অবহেলা করেছে। রাশিয়ার সাথে আমাদের ব্যবধান যাতে ঘটতে না পারে, সেজন্য যা করা দরকার ছিল তা আমরা করিনি।
বোল্ডেন ২০০৯ সালের জুলাই ২০১৭ সালের জানুয়ারি মেয়াদে নাসার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার মহাকাশ বিষয়ক সিদ্ধান্তগুলো দুর্দান্ত। চীনের সাথে মার্কিন সরকারের কাজের বিষয়ে এখন অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। তিনি নাসায় থাকাকালীন চীনের সাথে নাসা অবিশ্বাস্যভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ কর্মসূচি গড়ে তুলেছিল।