বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে লভ্যাংশ ঘাটতির আশঙ্কায় রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রযুক্তি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া এবং গ্রাহকদের এসব পণ্য কেনার পরিমাণ কমে যাওয়ায়, বেগ পোহাতে হচ্ছে স্যামসাং এবং এএমডির মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোকেও। ৩২ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘাটতি হতে পারে বলে ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে স্যামসাং।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়া এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রযুক্তি পণ্য কেনাকাটার সক্ষমতা কমে গেছে। ফলে কম্পিউটার এবং অন্যান্য কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি পণ্য বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে।
প্রযুক্তি পণ্যের সরাসরি বিক্রি কমায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চিপ ইন্ডাস্ট্রিও। স্যামসাং ও এএমডির মতো প্রতিষ্ঠানের আয়ের সিংহভাগ আসে চিপ থেকে। কিন্তু সেই খাতেও আয়ে নিম্নমুখী গতি দেখছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
স্যামসাংয়ের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসেই কমপক্ষে ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ কমার আশঙ্কা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবসা হওয়ার পূর্ব অনুমান ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রতিষ্ঠানটির। আগামী ২৭ অক্টোবর তৃতীয় প্রান্তিকে নিজেদের আয়ের পরিমাণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে স্যামসাং।
অন্যদিকে একই সময়ে অন্তত এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের অনুমান ছিল এএমডির। তবে চিপের চাহিদা কমে যাওয়ায় সেই অনুমানে ভাটা পড়তে যাচ্ছে।
এএমডির প্রধান নির্বাহী লিসা সু বিবিসিকে বলেন, এই প্রান্তিকে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের বাজার খুব দুর্বল ছিল। বিশ্বের দুর্বল অর্থনীতি অনুমানের থেকেও এই বাজারের চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে।
২০২৩ সালের প্রথম ভাগের আগে এই অবস্থা সহসাই কাটবে না বলে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।