জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে, বিষয়টি আগেই জানা গিয়েছিল। ইতোমধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন টুইটার প্রধান ইলন মাস্ক। পাশাপাশি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটির সব অফিস। কর্মীদের অভ্যন্তরীণ সিস্টেম অ্যাকসেস সুবিধাও বাতিল করা হয়েছে। ফলে কর্মীরা চাইলেও বিশেষ অনুমতি ছাড়া টুইটারের অভ্যন্তরীণ কোনো প্রযুক্তি ও সেবা ব্যবহার বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে টুইটারের পূর্ণ কর্তৃত্ব নিজের হাতে নেওয়ার পর যে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল তারই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টুইটারে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। পাশাপাশি কর্মীদের অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে প্রবেশের সুবিধাও বাতিল করা হয়েছে।
টুইটারের পক্ষ থেকে কর্মীদের কাছে পাঠানো এক মেইল বার্তা বলা হয়, টুইটারকে একটি সুস্থ-স্বাভাবিক পথে এগিয়ে নিতে বিশ্বব্যাপী কর্মী কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে ইলন মাস্ক বলেন, ছাঁটাইয়ের কোনো বিকল্প নেই, কারণ টুইটার দিনে ৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি লোকসান করছে।
এদিকে ভারতে কর্মরত টুইটারের মার্কেটিং এবং কমিউনিকেশনস বিভাগের সকল কর্মীদের ‘কাজ বন্ধ করে বাড়ি চলে যাওয়ার’ জন্য মেইল পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিটি কিনে নেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ইতোমধ্যে তার টুইটারের প্রধান নির্বাহী হওয়া নিশ্চিত হয়েছে। টুইটারের ৯ সদস্যর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছেন তিনি। এদের মধ্যে ছিলেন চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর এবং প্রধান নির্বাহী পরাগ আগারওয়াল।