২০২৫ সাল নাগাদ স্যামসাংয়ের ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ২৫০ কোটি গুণ বেশি সুরক্ষিত হবে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। স্যামসাংয়ের প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট স্যামমোবাইলের নতুন এক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। খবর গিজমোচায়না।
স্যামমোবাইল প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্যামসাং বর্তমানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারের সুরক্ষা স্তর উন্নয়নে কাজ করছে। ব্র্যান্ডটি উন্নয়নের বেশ কিছু জায়গায় মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করছে। তার মধ্যে একটি হলো ছোট ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারকে একক কিন্তু বৃহত্তর ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার দিয়ে প্রতিস্থাপন করা। যা একই সঙ্গে একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যান করতে পারবে। এজন্য একটি বড় স্ক্যানিং এড়িয়া থাকবে।
ফ্রান্সের প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইএসওআরজির প্রধান নির্বাহী ডেটার মে বলেন, স্যামসাং শিগগিরই তাদের প্রযুক্তি আপকামিং ওলেড প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। আইএসওআরজি হলো একটি করপোরেশন, যা হ্যান্ডসেটের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার তৈরি করে। এদিকে স্যামসাং এরই মধ্যে তাদের ওলেড ২.০ পরবর্তী প্রজন্মের প্যানেলগুলোয় অল-ইন-ওয়ান সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি জানিয়েছে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী শনাক্তে একসঙ্গে তিনটি আঙুলের ছাপ দিয়ে যাচাই করা হবে, যা শুধু একটি আঙুল ব্যবহারের চেয়ে ২৫০ কোটি গুণ বেশি নিরাপদ। পুরো স্ক্রিনটি তিন আঙুলের সাহায্যে একসঙ্গে ব্যবহার করার জন্য এ পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আইএসওআরজির প্রধান নির্বাহীর মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে স্যামসাং ওলেড ২.০ বাজারে আনতে যাচ্ছে, যেখানে আইফোনের নতুন মডেলগুলো ফেস আইডির ওপর নির্ভরশীল। এ সময়টাতে অ্যাপল একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানিংয়ের পথে হাঁটবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রযুক্তিবিদদের ধারণা, ভবিষ্যতে স্ম্যার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে স্যামসাং দাপুটে অবস্থানে থাকবে। এছাড়া একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানিং প্রযুক্তির দিক দিয়েও প্রথম মোবাইল হবে স্যামসাংয়ের।