কভিড-১৯ মহামারীতে দুই বছর বিশ্ব অনেকটা স্থবির ছিল। ২০২২ সালে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে ব্যবসা, বাণিজ্য ও কর্মব্যস্ততা। তবে বিদায়ী বছরে সাইবার হামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিল। বছরের শেষ দিকে লাস্টপাসসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরি হয়েছে। তবে নতুন বছরে এ ধরনের ঘটনা আরো ব্যয়বহুল হবে। অ্যাক্রোনিস প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ দাবি জানানো হয়েছে। খবর টেকরাডার।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেয়া ৭ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ইউনিক এন্ডপয়েন্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চলতি বছর তথ্য চুরির হামলায় গড় ব্যয় ৫০ লাখ ডলারে পৌঁছবে। শুধু ব্যয় নয়, তথ্য চুরিতে হামলার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।
ক্ষতিকর ও ফিশিং ই-মেইল থেকে হুমকির পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানে ৬০ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২২ সালের শেষ চার মাসে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং আক্রমণও বেড়েছে। বিগত বছরের প্রথমার্ধে অনলাইনে পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়ে যাওয়াসহ অন্যান্য ঘটনা উল্লেখযোগ্য ছিল। অ্যাক্রোনিসের সাইবার প্রটেকশন রিসার্চ বিভাগের ভিপি ক্যান্ডিড উয়েস্ট বলেন, গত কয়েক মাস সবচেয়ে কঠিন ছিল। কেননা এ সময় হামলা ও হুমকির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।