এখনও পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের জীবন আরও সহজ করবে। নানা সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু প্রযুক্তিগত এই সুবিধা কিছু অসুবিধাও ডেকে আনতে পারে। বিজ্ঞানীরা এমনটাই আশঙ্কা করছেন। তারা বলছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে যে একজন ব্যবহারকারীরা যেকোনো পাসওয়ার্ড বের করতে সক্ষম।
সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ১ থেকে ৬০ গোণার মধ্যেই যে কোনও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করতে পারে। এবং সেখান থেকে ফাঁস হতে পারে ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য।
এ নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছে হোম সিকিউরিটি হিরোজ ডট। তাদের এই সমীক্ষা অনুযায়ী ৫১ শতাংশ সাধারণ পাসওয়ার্ড কয়েক মিনিটের মধ্যে ভেঙে ফেলতে পারে এআই।
ও প্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুযায়ী, ৬৫ শতাংশ পাসওয়ার্ড ১ ঘণ্টার মধ্যে ভেঙে ফেলতে পারবে এআই। আর ৮৫ শতাংশ পাসওয়ার্ড ভাঙতে সময় লাগবে এক মাস।
হ্যাঁ এমনই অকল্পনীয় ক্ষমতা রয়েছ এই প্রযুক্তির। তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, ওই পাসওয়ার্ড যত শক্তিশালী হোক না কেন তা নিমেষে ক্র্যাক করতে সক্ষম এআই।
এই সংস্থা গবেষণার জন্য পাসজেন নামক একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুলের ব্যবহার করে। ফলাফলে পৌছানোর আগে এই টুল ১৫,৬৮০,০০০ পাসওয়ার্ডের উপর প্রয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সমীক্ষা অনুযায়ী, যে সব পাসওয়ার্ড ১৮ ক্যারেক্টারের বেশি সেগুলো বর্তমানে সুরক্ষিত। এই ধরনের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করতে পাসজেন-এর মতো এআই টুলের প্রায় ১০ মাসের বেশি সময় লাগবে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, যে সব পাসওয়ার্ড কোনও সিম্বল, বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষর এবং সংখ্যার মিশ্রণে তৈরি সেগুলো ভাঙতে ৬ কুইন্টিলিয়ন সময় লাগবে এই টুলের। অর্থাৎ এই ধরনের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করতে কয়েক যুগ সময় নেবে এআই।