স্মার্টফোন এখন হয়ে উঠেছে নিত্যসঙ্গী। প্রতিনিয়তই বাড়ছে স্মার্টফোনের চাহিদা। ছবি তোলা, দূর দুরান্তে ভিডিও কিংবা অডিও কলে কথা বলা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সবই হচ্ছে এক স্মার্টফোনে। আবার অনেকেই স্মার্টফোনে কনটেন্ট তৈরি করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন। বাজেটের কারণে নামিদামি স্মার্টফোন কিনতে পারেন না অনেকেই। তবে শুধু নামিদামি স্মার্টফোন নয় কমের মধ্যেও ভালো স্মার্টফোন পাবেন বাজারে।
স্মার্টফোনে ব্যাংকের অ্যাপ ব্যবহার করেন না এমন মানুষ কমই আছেন। খুব সহজেই এ অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠানো, রিচার্জ করা সবই ঘরে বসে করতে পারেন। তবে স্মার্টফোন হ্যাক করে প্রতারকরা খালি করতে পারে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা। স্মার্টফোন থেকে ব্যাংকের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে হ্যাকাররা। এরপর আপনার অজান্তেই সব টাকা তুলে নেবে।
এর থেকে বাঁচতে স্মার্টফোন ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক স্মার্টফোন ব্যবহারের এমন ৫ ভুল, যেগুলোর জন্য হ্যাক হতে পারে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-
সাধারণ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা
অনেকেই স্মার্টফোনে পাসওয়ার্ড ব্যবহারে উদাসীন থাকেন। পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলেও তা থাকে খুবই সাধারণ। হয় ফোন নম্বরের শেষের কয়েকটি ডিজিট বা নিজের জন্মতারিখ। এই ভুলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হয় হ্যাকারদের। এতে কোনো পরিশ্রম ছাড়াই স্মার্টফোন হ্যাক করতে পারে হ্যাকার। মনে রাখতে হবে, নিজের যে কোনো পাসওয়ার্ড, কাউকে কখনোই বলা যাবে না। এমনকি কোথায় লিখেও রাখবেন না।
অপরিচিত লিংকে ক্লিক করা
প্রতারকরা নানাভাবে প্রতারণা করছে। স্মার্টফোন হ্যাক করার অন্যতম এক উপায় হচ্ছে অপরিচিত মেইল। যাকে বলা হয় ফিশিং মেইল। অনেকেই না জেনে যে কোনো মেইল বা ইনবক্সে আসা মেইল ওপেন করেন। ফলে খুব সহজেই সেই স্মার্টফোন হ্যাক করে নেয় হ্যাকার। তাই অপরিচিত কোনো মেইল দেখে সন্দেহজনক মনে হলে সেটি খুলবেন না বা ডাউনলোড করবেন না।
পুরোনো সফটওয়্যার ব্যবহার
যে কোনো সফটওয়্যারেরই পুোনো সংস্করণগুলোতে ‘সিকিওরিটি ফিচার’ থাকে না। ফলে নিরাপত্তা প্রায় নেই বললেই চলে। অনেক মানুষই আপডেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করার কারণে প্রতারকদের শিকার হন। সব সময় নিজের ডিভাইস আপগ্রেড করে রাখা দরকার। প্রতিটি আপডেটের সঙ্গে অত্যাধুনিক সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য পাওয়া সম্ভব।
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে অবহেলা নয়
তথ্য চুরির একটি বড় কারণ ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারা। সেক্ষেত্রে যে কেউ সেসব তথ্য পেয়ে যেতে পারে। অনেকেই স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ লক করেন না। কেউ কেউ আবার পাবলিক নেটওয়ার্কে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে রাখেন। এ কারণে অনেক সময় ব্যক্তিগত তথ্য সহজেই ভুল হাতে পৌঁছে যায়।
কাউকে ডিভাইসের অ্যাক্সেস দেবেন না
অনেক সময় কাছের মানুষদের কোনো চিন্তা ভাবনা না করেই ডিভাইসের অ্যাক্সেস দেন। এটি কিন্তু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।অননুমোদিত অ্যাক্সেস অবশ্যই ঝুঁকি বহন করে। অননুমোদিত অ্যাক্সেস সহজেই কোনো ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। শুধু তাই নয়, সে তথ্যের অপব্যবহার হতে পারে যে কোনো সময়। ফলে নিজের ডিভাইসে অননুমোদিত অ্যাক্সেস দেওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।