১৮ এপ্রিল ভারতে প্রথম স্টোর চালু করে অ্যাপল। এর দুই দিন পর ২০ এপ্রিল দিল্লিতে আরেকটি স্টোর উদ্বোধন করা হয়। এই স্টোর উদ্বোধন করেছেন টিম কুক। এই স্টোরে বিপুল সংখ্যক কর্মী নেবে কুর্পাটিনোর কোম্পানিটি।
ভারতে অ্যাপল নিজস্ব বিপণি খোলার পর কৌতূহলী হয়ে পড়েছেন অনেকেই। কোডিংয়ে যারা হাত পাকিয়েছেন, তাদের জন্য এ এক সুবর্ণ সুযোগ।
ভারতে অ্যাপলের দুইটি স্টোরে ১৭০ জন কর্মী কাজ করেন। মুম্বাই এবং দিল্লির স্টোরে তারা কর্মরত রয়েছেন।
অন্যান্য প্রযুক্তি সংস্থার বিপণির কর্মীরা যে পরিমাণ বেতন পান, সেই তুলনায় অ্যাপল স্টোরের কর্মীদের ৪ গুণ বেশি বেতন দেওয়া হবে।
ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অ্যাপল স্টোরের কর্মীদের প্রতি মাসে এক লক্ষ রুপি বেতন দেওয়া হবে। অর্থাৎ কর্মীদের বার্ষিক উপার্জন দাঁড়াবে ১২ লাখ রুপি।
তবে অ্যাপল স্টোরে চাকরি পাওয়ার সুযোগ মিলবে পর্যাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে। ব্যাচেলর অব টেকনোলজি এবং মাস্টার্স বঅ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে পড়াশোনা করলে স্টোরে কাজ করার আবেদন জানানো যাবে।
শুধু তাই নয়, তথ্যপ্রযুক্তিতে স্নাতকোত্তর থাকলেও অ্যাপল স্টোরে কাজ মিলতে পারে।
ইতিমধ্যেই অ্যাপল স্টোরে যে কর্মীরা কাজ করেন তাঁদের একাংশ গ্রিফিথ এবং কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করে এসেছেন।
আবার কোনও কোনও কর্মীকে ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়া থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা বিদেশেও অ্যাপল স্টোরে কর্মরত অবস্থায় ছিলেন। সেখান থেকে তাদের ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে।
ভবিষ্যতে ভারতকে কেন্দ্র করেই ব্যবসা করার পরিকল্পনা রয়েছে অ্যাপলের। সেই কারণেই জোড়া অ্যাপল স্টোর খুলেছেন টিম কুক।
আবার অনেকে মনে করেন যে, অ্যাপল স্টোর খোলার পর ভারত বিশ্বের অন্যতম বড় মোবাইল ফোন বিক্রির বাজারে নিজের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।